এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ১ লা নভেম্বর থেকেই হাসপাতালে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন? জানুন বিস্তারে

১ লা নভেম্বর থেকেই হাসপাতালে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সরকারি হাসপাতালে মেলে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা মেলাতেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা বেশিরভাগই রোগীরাই তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিষয়টি গোপন করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তারা জানাচ্ছেন না যে, তাদের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড আছে কিনা। কার্ডের সমস্ত তথ্য গোপন করে, বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা পরিসেবা গ্রহণ করছেন তাঁরা। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে। লোকসান রুখতে শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ লা নভেম্বর থেকেই হাসপাতালে রোগী ভর্তির সময় আধার কার্ড হাসপাতালে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলো হাসপাতালের পক্ষ থেকে।

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, হাসপাতালে রোগীরা অনেকেই তাঁদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও কার্ডের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে গোপন করে যাচ্ছেন। যদিও, বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে চিকিৎসা করানোর সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তাঁরা ব্যবহার করছেন। বর্তমানে হাসপাতালের মাত্র ১০ শতাংশ রোগী তাঁদের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ব্যবহার করে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পরিসেবা গ্রহণ করছেন। এর ফলে কমে যাচ্ছে হাসপাতালের আয় ব্যাপকভাবে। এদিকে হাসপাতালে কার্ডিও এবং অর্থো বিভাগ সহ বেশকিছু বিভাগে চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় হাসপাতালকে। এসব বিষয়ের কথা চিন্তা করেই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড যাতে রোগীরা হাসপাতালে জমা দিতে বাধ্য হন, তার জন্য নেয়া হলো এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রোগীদের আধার কার্ড হাসপাতালের কাছে জমা থাকলে, আধার কার্ডের মাধ্যমে রোগীর স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড আছে কিনা সে বিষয়টি জানতে পারবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড যদি থাকে, তবে সে বিষয়ে সমস্ত তথ্য হাসপাতালে দিতে বাধ্য হবেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা। তাঁদের স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থেকে টাকা মিলবে হাসপাতালের। যে অর্থ হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়ক হবে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার ডাক্তার প্রবীর সেনগুপ্ত জানালেন, ” স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে যে টাকা মেলে, তা হাসপাতালের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়। ওষুধ কেনার কাজেও সেই টাকা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, এখন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে হাসপাতালের আয় কমছে। তাই, রোগী ভর্তির সময় আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। হাসপাতালের লোকসানের বহর কমাতে এই নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাকাউন্টস অফিসার শুভঙ্কর বিশ্বাস জানালেন যে, গত অর্থবর্ষে ২.৫ কোটি টাকা হাসপাতাল আয় করেছিল স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থেকে। কিন্তু এবছর রোগীরা স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের ব্যবহার যথেষ্ট হারে কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে হাসপাতালের আয় কমেছে। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড ব্যবহার করলে বেশকিছু বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন রোগীরা। যেমন- বাড়ি ফেরার সময় গাড়ির ব্যবস্থা পাবেন তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর তথ্য গোপন করায়, এই সমস্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে রোগীদের। কার্ড ব্যবহার করলে তারা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি সুবিধা হবে হাসপাতালের। তাই এবার থেকে এই হাসপাতালে আধার কার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!