এখন পড়ছেন
হোম > খেলা > বিশ্ববরেণ্য অধিনায়ক – কিন্তু আইপিএলে যে ১০ জনকে ভাগ্য দেয় নি সাথ, তালিকায় ৩ নম্বর নামটি দেখলে চমকে যাবেন

বিশ্ববরেণ্য অধিনায়ক – কিন্তু আইপিএলে যে ১০ জনকে ভাগ্য দেয় নি সাথ, তালিকায় ৩ নম্বর নামটি দেখলে চমকে যাবেন


“ক্যাপ্টেনকে রেট করা উচিত তাঁর পারফমেন্সের ভিত্তিতে” – সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে এমনটাই বলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। সে প্রসঙ্গেই বলে রাখা দরকার পারফমেন্স মাপতে এখন আর শুধু একই ঘরানার ক্রিকেটকে ধরা হয়না। টেস্ট, ওয়ান ডে, টি-২০ তিনটে ফরম্যাটেই ভালো ফল করলে বর্তমানে ভালো ক্রিকেটারের তকমা জোটে।

আর যদি টি-২০ ক্রিকেটের কথা বলা হয় তবে প্রথমেই আসে আইপিএলের প্রসঙ্গ। এমনও অনেক তাবড় তাবড় ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা আন্তর্জাতিক আসরে যতই দুর্ধর্ষ হন, আইপিএলের ইতিহাসে সেইভাবে স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারেননি। বিশ্ব ক্রিকেটের বেশ কিছু অধিনায়কও রয়েছেন এই তালিকায় যাঁরা আইপিএলে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। আসুন দেখে নেওয়া যাক এরকম দশজন বিশ্ববরেণ্য অধিনায়কের তালিকা –

১০. মিসবা-উল-হক – আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসরে এই ক্রিকেটারকে নিঃসংকোচে চোখ বুঝে দশে আট দেওয়া যেতে পারে। তবে, কথা যদি হয় আইপিএল নিয়ে সেখানে কিন্তু মনে রাখার মত তেমন কিছু করতে দেখা যায়নি এই পাকিস্তানি অধিনায়ককে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে মাত্র ৮ টি ম্যাচেই দেখা গেছে এই তারকাকে। ঝুলিতে ওঠে ১১৭ রান (গড় ১৬.৭১)। তারপর পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে আইপিএল ক্যারিয়ার কার্যত ওখানেই শেষ হয় মিসবা উল হকের।

৯. সনৎ জয়সূর্য – শ্রীলঙ্কার ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে পাহাড় প্রমাণ রানের মালিক এই সনৎ জয়সূর্য। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর অধিনায়কত্বও প্রশংসার সার্টিফিকেট পেয়েছে। তবে, জাতীয় দলের হয়ে তাঁর যে দুরন্ত ফর্ম, সেটা উপেক্ষিত থেকে গেছে আইপিলের ময়দানে। ২০০৮-এ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তাঁর ১৪ টি ম্যাচে ৪৯৪ রান করলেও পরের বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে এই রানের অর্ধেকটাও করে উঠতে পারেননি তিনি। পারফমেন্সে ধারাবাহিকতার অভাবেই তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়।

৮. ড্যারেন স্যামি – ২০১৩ সালে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা ক্রিকেটারের। সেই মরশুমে তাঁর অধিনায়কত্বে টিম প্লে অফে উঠলেও ব্যাটে-বলে সেভাবে সফল ছিলেন না স্যামি। ১০ টি ম্যাচ খেলে ২০১৩ আইপিএল মরশুমে তাঁর শিকার ছিল ৮ টি উইকেট এবং ১৭৪ রান। পরের বছরও সানরাইজার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেন তিনি। কিন্তু সেবছর পারফমেন্সে ধার এতটাই হারিয়ে ফেলেন যে ২০১৫ আইপিএল নিলামে তাঁকে সানরাইজার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি রিলিজ করে দেয়। পরে, ২০১৫ এবং ‘১৬ তে তাঁকে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলতে দেখা যায় আইপিএলে ব্যাঙ্গালোরের হয়ে।

৭. অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস – ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর কুমার সাঙ্গাকারা শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। এরপর থেকেই শ্রীলঙ্কার পরবর্তী অধিনায়করূপে বিশ্বব্যাপী সফর শুরু অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অভিষেক ঘটলেও প্রথম মরশুমে প্রত্যাশিত কিছু করতে পারেন নি তিনি। এরপরে ২০১১-১৩ আইপিএল মরশুমে পুণের হয়ে খেললেও নজর কাড়তে পারেননি। তিনটে সিজেনে পুণের হয়ে মাত্র ৫৩২ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস আর উইকেট নেন ২০ টি। এরপরে তাঁর দিল্লির হয়ে পারফমেন্স আরও খারাপ। দুটো সিজেনে দিল্লির হয়ে মাত্র ১৭৬ রান করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৬. জ্যাসন হোল্ডার – আইপিএলে চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ এবং কলকাতা – তিনটি ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা। তবে কোনো টিমের হয়েই তেমন দৃষ্টান্তমূলক ফর্মে দেখা যায়নি তাঁকে। ২০১৩ তে চেন্নাইয়ের হয়ে ৬ টি ম্যাচে মাত্র ৮৪ রান করেন। এরপরে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এলেও সেখানে সব ম্যাচে খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। ২০১৬ সালে ড্রেসিংরুম বদলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে এলেও সেখানেও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি তিনি।

৫. জর্জ বেইলি – ২০০৯ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএলে হাতেখড়ি প্রাক্তন এই অজি অধিনায়কের। সেই মরশুমে ক্ষুরধার পারফমেন্স না দেখাতে পারলেও ২০১৪ এবং ‘১৫ আইপিএল সিজেনে বেশ ভালো ভুমিকায় দেখা যায় জর্জ বেইলিকে। তাঁর নেতৃত্বেই আইপিএলে ফাইনাল খেলতে দেখা যায় পাঞ্জাবকে। কিন্তু তারপর থেকে আর সেভাবে আইপিএলে নজর কাড়তে পারেননি এই তারকা।

৪. রস টেলর – আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার হলেও আইপিএলে আশানুরূপ কিছু করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বেঙ্গালুরু আর দিল্লির হয়েই আইপিএলে এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে তাঁকে। মোট ৫৫ টি আইপিএল ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ১০১৭ রান।

৩. সৌরভ গাঙ্গুলি – অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত সফল হলেও আইপিএলে সেভাবে ল্যান্ডমার্ক গড়ে তুলতে পারেননি ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটার’ অধিনায়কত্ব। কলকাতার হয়েই আইপিএল অভিযান শুরু তাঁর। ২০১০ আইপিএলে কলকাতার হয়ে ১৪ ম্যাচে করেন ১৯৩ রান। তবে অধিনায়কত্বে সহ বিভিন্ন কারণে সমলোচিত হতে থাকেন ক্রমশ, শেষে নাইট দূর্গ থেকে বাদই পরেন তিনি। পরে পুণে ওয়ারিওর্সের হয়ে খেললেও, সেখানেও সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি দাদাকে।

২. মাইকেল ক্লার্ক – আইপিএলে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি এই অজি অধিনায়ক। পুণের হয়ে আইপিএলে হাতেখড়ি হলেও সেই মরশুমে পুণের হয়ে তাঁর পারফমেন্স ছিল অতি নগণ্য। লিগ টেবিলে সবার শেষে থেকে সেবছর আইপিএল অভিযান শেষ করে তাঁর টিম পুণে। এরপর আর আইপিএলে খেলতে দেখা যায়নি মাইকেল ক্লার্ককে।

১. রিকি পন্টিং – বিশ্ব ক্রিকেটে রিকি পন্টিংয়ের পরিচিতি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ একজন অধিনায়ক হিসেবে। তবে আইপিএলে সেভাবে স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। কলকাতার হয়ে তাঁর আইপিএলে রেকর্ড বলতে চারটে ম্যাচে মাত্র ৩৯ রান। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেললেও সেখানেও নিভু নিভু পারফমেন্সের মধ্যেই থেকে যান তিনি। ক্ষুরধার কিছু করে উঠতে পারেননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!