এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আবার ১০০ দিনের কাজে ধামাকা বাংলার, কেন্দ্রের প্রশংসা এসে পৌঁছলো নবান্নে

আবার ১০০ দিনের কাজে ধামাকা বাংলার, কেন্দ্রের প্রশংসা এসে পৌঁছলো নবান্নে

বাংলাকে বিশ্বসেরা করার লক্ষে বারেবারেই বিভিন্ন কাজে সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এরাজ্য। কিছুদিন আগেই 100 দিনের কাজে সারা দেশে নজির সৃষ্টি করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা নিয়ে উৎফুল্ল ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী থেকে আধিকারিকেরাও। এবার পঞ্চায়েত নির্বিচনের কারনে সেই 100 দিনের কাজে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হতে শুরু করেছিল। শ্রমদিবস তৈরিতেও পিছিয়ে ছিল এই রাজ্য। কিন্তু ভোটপর্ব চুকে যেতেই সেই কাজে উদ্যোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী 31 শে জুলাই পর্যন্ত শ্রমদিবস তৈরির লক্ষমাত্রা 5 কোটি 73 লক্ষ্য 637 দেওয়া হলেও সেই সময়সীমা পার হওয়ার আগেই সেই লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়ে  রাজ্যের তরফে 7 কোটি 41 লক্ষ্য 79 টি শ্রমদিবস তৈরি করা হয়েছে।

আর এইখানেই রাজ্যের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে রাজ্যকে প্রশংসার কথা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। জানা গেছে, 2018-19 এ কেন্দ্র রাজ্যকে শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে 25 কোটি। কিন্তু তা আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগেই পূরন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজ্যের কর্তারা। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রের খবর, বর্তমানে এই 100 দিনের কাজে 26 লক্ষ্য 29 হাজার পরিবার যুক্ত রয়েছেন।

তবে এই পুকুর খননের মত কাজকে বাইরে রেখে উৎপাদনশীল সম্পদ সৃষ্টির জন্য “মিশন মিলিয়ন ড্রিম” নামে একটি উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। যেখানে গরিব পরিবারকে যুক্ত করে নিজ নিজ জমিতে মুরগির খামার, ছাগলের ঘর, গোশালা, মাঠপুকুর, জৈবসার তৈরি  এইসব কিছু করা হবে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ায় আপেল চাষ, বীরভূমে খেজুর, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে রবার চাষ শুরু করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, বাংলাকে বিশ্ববাংলায় রুপায়িত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই দু দুবার সাফল্যের পর এই 100 দিনের কাজে বাংলাকে সারা দেশে প্রথম স্থানে ধরে রাখতে তৎপর রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!