এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 100 দিনের কাজ নিয়ে অনেক অভিযোগ জমা পড়ায় কড়াকড়ি কেন্দ্রের, মাথায় হাত রাজ্য সরকারের

100 দিনের কাজ নিয়ে অনেক অভিযোগ জমা পড়ায় কড়াকড়ি কেন্দ্রের, মাথায় হাত রাজ্য সরকারের

 

100 দিনের কাজে বাংলার সরকার অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে অতীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে এর আগে একাধিকবার দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কেন্দ্রের বঞ্চনা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য এই 100 দিনের কাজে সেরার সেরা স্থান অধিকার করায় গোটা বিষয়টিকে নিয়ে শাসক দলের নেতা থেকে মন্ত্রীরা জোরকদমে তা প্রচার করতে শুরু করে।

কিন্তু একসময় রাজ্যের শাসক দল যে 100 দিনের কাজকে ইস্যু করে তাদের সাফল্যের কথা গোটা রাজ্যে তুলে ধরত, সেই 100 দিনের কাজে কি এবার রাজ্য পিছিয়ে পড়তে চলেছে! জানা গেছে, গত আর্থিক বছরে এই সময়ে 100 দিনের কাজে 12 কোটি শ্রম দিবস তৈরি হলেও বর্তমান আর্থিক বছরে বর্তমান সময়ে সেই শ্রমদিবস পৌঁছেছে মাত্র 7 কোটিতে।

আর এখানেই রাজ্য সরকারের অন্দরে প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তারা কি আদৌ তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী 28 কোটি শ্রমদিবসে পৌঁছতে পারবে! কেননা এখনও যেখানে পাঁচ কোটি শ্রমদিবস বাকি রয়েছে, সেখানে কি করে এই কয়েক মাসের মধ্যে তারা 28 কোটি শ্রমদিবসে পৌছবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের চিন্তা দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে। তবে এই ব্যাপারে অবশ্য কেন্দ্রের 100 দিনের কাজ নিয়ে কড়া অবস্থানকেই দায়ী করছে রাজ্য সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, 100 দিনের প্রতিটি স্তরের কাজের অগ্রগতি সহ কেন্দ্রের তরফে দিল্লিতে ছবি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি হয় এমন ছাড়া কোনো কাজ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা, জলাশয় কাটা নিয়ে কড়া অবস্থান সহ কেন্দ্রের তরফে এই 100 দিনের কাজ নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা রাজ্যের কাছে আসায় সেই কাজের দ্রুততায় অনেকটাই ভাটা পড়েছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের।

আর সেক্ষেত্রে তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। রাজ্যের দাবি, এবারে লোকসভা ভোট এপ্রিল মাসে থাকার জন্য সেই ভাবে 100 দিনের কাজ শুরু করা যায়নি। পরবর্তীতে বর্ষা এবং পুজো আসার জন্য সেই ভাবে কাজ হয়নি। ফলে প্রত্যেক দিন পিছু যে কাজের পরিমাণ দেওয়া হয়েছে, তা একদিনে করা সম্ভব নয়।

আসলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রবল কড়া নীতির কারণেই রাজ্যের এই 100 দিনের কাজ থমকে গিয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার অনেক কড়াকড়ি করেছে। টাকা দিচ্ছে না। তাই কাজ গত বছরের তুলনায় কম হয়েছে। আমরা 31 মার্চের মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করব।” সব মিলিয়ে অতীতে সাফল্যের সঙ্গে রাজ্যে 100 দিনের কাজ হলেও এই বছর সেই কাজ করতে কতটা সক্ষম হয় রাজ্য সরকার, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!