এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যের বেকারদের স্বনির্ভর করতে ১০ হাজার ই-রিক্সা নামাচ্ছে রাজ্য সরকার, ঘোষণা মন্ত্রীর

রাজ্যের বেকারদের স্বনির্ভর করতে ১০ হাজার ই-রিক্সা নামাচ্ছে রাজ্য সরকার, ঘোষণা মন্ত্রীর

গ্রাম বাংলায় এবার বেকারদের মুখে হাসি ফোটাতে কর্মসংস্থানের হদিশ দিয়ে রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দপ্তর নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছে। খুব শীঘ্রই গ্রাম বাংলায় নামতে চলেছে ই-রিক্সা। প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ই-রিক্সা নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। দাম রাখা হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।

অনলাইনে www.shg.wbscl.in ওয়েবসাইটে ই-রিক্সা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন পুরুষ ও মহিলা এমনকী প্রতিবন্ধীরাও। রেজিস্ট্রেশান শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে অনলাইনে আবেদনর সময় পাসপোর্ট ছবি,জন্ম শংসাপত্র,প্যান কার্ড আয় সংক্রান্ত শংসাপত্র,জাতি শংসাপত্র,কর্মহীনের শংসাপত্র থাকাটা জরুরি। মোট দামের ৩০% ভর্তুকি সরকারের তরফ থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লোন তুলে ই-রিকশগুলো কিনতে পারবেন না গ্রাহকরা। স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীনস্থ স্বরোজগার কর্পোরেশন লিমিটেডের মাধ্যমে ই-রিক্সাগুলো দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে প্রশাসনের সূত্র থেকে।

এ নিয়ে নদীয়া জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের প্রশাসনিক পর্যালোচনার সভা হয়ে গেল এদিন কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্র ভবনে। সভায় দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, তিন বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, কল্লোল খাঁ, পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মুক্তধারা প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এদিন মন্ত্রীরা। কোথাও কোনো গলদ না রাখার নির্দেশ দিলেন মন্ত্রীরা। জেলার নটি গ্রামকে মুক্তধারা প্রকল্পের মডেল হিসাবে তুলে ধরা হবে। আগে পুরুলিয়া,পশ্চিম মেদিনীপুরে মুক্তধারা প্রকল্পের মাধ্যমে বহু বেকার যুবক যুবতীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। সম্প্রতি রাজ্যের আরো নটি জেলাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে নদীয়া জেলা।

নতুন প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী সাধন বাবু জানালেন, প্রথম পর্যায়ে দশ হাজার ই-রিক্সা দেওয়া হলেও পরে সংখ্যাটা আরো বাড়বে। ব্যাঙ্ক থেকে লোন পেতে সমস্যা হলে সরাসরি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দপ্তরে সমস্যার কথা জানাতে পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী। তবে সুপারিশ ছাড়া কি ব্যাঙ্ক লোন দেবে না?

সাংবাদিকমহল থেকে এ প্রশ্ন উঠলে মন্ত্রী জানান,উপভোক্তাদের ঋণদানের জন্য প্রতিটি জেলাতেই একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে জেলা প্রশাসনিক কর্তারা,বিধায়ক,ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা থাকেন। কোনো কারণবশত উপভোক্তা যদি কমিটির কাছে পৌছাতে না পারেন তবে সরাসরি দপ্তরে আসনে পারেন উপভোক্তাটি। মন্ত্রী আশ্বাস দিলেন,সবদিক খতিয়ে দেখে আবেদনকারীকে লোনের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হবে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,এদিন মুক্তধারা প্রকল্পের সূত্র ধরে মহিলা টেলারিং প্রশিক্ষণ নিয়ে মঞ্চে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল মন্ত্রীকে। শুধুমাত্র টেলারিং প্রশিক্ষণের শংসাপত্র বিতরণ করা হচ্ছিল তাঁর হাত থেকে। তাতেই অসন্তুষ্ট তিনি। জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের ধমক দিয়ে বলেন যে,সবাইকে টেলারিং শেখানো হচ্ছে কেন? মহিলাদেব স্বনির্ভর করতে হলে পোলট্রি,ছাগল পালন,বাসন তৈরির প্রশিক্ষণেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। একথা বলার পরই মন্ত্রী শংসাপত্র বিতরণ বন্ধ করে চেয়ারে বসে পড়েন। বাকি শংসাপত্র বিধায়ক এবং জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের মারফতে বিতরণ করা হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!