১৪ র পর থেকে বাংলার বুকে নামছে অন্ধকার, থাকুন সাবধানে, জেনে নিন অন্যান্য আবহাওয়া রাজ্য October 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভাদ্র শেষ হয়ে আশ্বিন মাস চলছে। সামনে আসছে শারদীয়া দুর্গাপূজা। কিন্তু গরমের হাত থেকে রেহাই নেই। ঠাঠা পরা রোদের সাথে ভ্যাপসা গরম দুর্বিষহ করে তুলেছে পরিস্থিতি এই মুহূর্তে। রাজ্যবাসীর চোখ এখন আকাশের দিকে। কোথাও যদি কালো মেঘের দেখা পাওয়া যায়। তবে কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর। আশায় বুক বেঁধেছিল বাংলার মানুষ। কিন্তু বিধি বাম। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই নিম্নচাপের কোনো প্রভাব এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ওপর পড়ার কোনো রকম সম্ভাবনা নেই। রাজ্যের আকাশে কখনো টুকরো মেঘ ভাসছে অবশ্য কিন্তু মুহুর্তের মধ্যেই সেই মেঘ ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। চড়া রোদ আর প্যাচপ্যাচে গরমে বোঝাই যাচ্ছে, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গেছে অত্যধিক হারে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর যে নিম্নচাপটি তৈরি হচ্ছে, তা বর্তমানে ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং কাঁকিনাড়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সোমবারের মধ্যে এই নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস হলো, আগামী 24 ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। বরং কয়েকটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে। একইভাবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে। তবে একটানা ভারী বৃষ্টির এইমুহুর্তে কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই হয়। তবে রাজ্যবাসীর মনে আশা, অস্বাভাবিক গরমের গুমোট অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে আকাশ কালো করে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঘনঘোর বৃষ্টিতে। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় ইতিমধ্যেই সেখানে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলা জুড়ে ভালোই বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে শুরু হয়েছে ভ্যাপসা আবহাওয়া। চড়া রোদ হলে পরিস্থিতি আরো যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছে। ১৪ তারিখের পরে কি আবহাওয়ার বদল হবে? আপাতত আবহাওয়াবিদদের ঘোষণার দিকেই নজর রাজ্যবাসীর। আপনার মতামত জানান -