বেজে গেল নির্বাচনী দামামা – একসাথে ১৫ আসনে উপনির্বাচন, জানুন বিস্তারিত জাতীয় November 11, 2019 1951 সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী খালি থাকা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। আর সেই মর্মেই এবার কর্নাটকে লোকসভা কেন্দ্রের খালি থাকা আসন গুলির জন্য উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হল। একসাথে 15 টি আসনে কর্নাটকে উপনির্বাচন হবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কর্নাটকের উপনির্বাচনের জন্য দিন ঘোষণা হয়েছে আগামী 5 ই ডিসেম্বর। এই ঘোষণার পর থেকেই কর্নাটকের রাজনীতিতে যথেষ্ঠ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। উপনির্বাচনের প্রতিনিধিত্ব করতে প্রত্যেকটি দলই রীতিমতো তৈরি হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জীব কুমার কর্নাটকে বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। আগামী 5 ই ডিসেম্বর নির্বাচন হবার চারদিন পরে, অর্থাৎ আগামী 9 ই ডিসেম্বর গণনার দিন নির্ধারিত হয়েছে। কর্ণাটকের নির্বাচনী অফিসারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, 11 ই নভেম্বর থেকেই বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কর্নাটকে নির্বাচনী বিধি লাগু হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, কর্নাটকে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বৃহত্তম দল হয়েও, মাত্র কিছু আসনের জন্য সরকার গঠন করতে পারে না। রাজ্যপাল প্রাথমিকভাবে বিজেপিকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরের দিনই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানে ব্যর্থ হয় বিজেপি। এরপর, কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন কর্ণাটকের ‘থার্ড বয়’ জেডিএসের কুমারস্বামী। কিন্তু, সেই সরকার সবসমই ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে। এর মাঝেই কংগ্রেস ও জেডিএস মিলে – দু-দলের মোট ১৫ জন বিধায়ক বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে মহারাষ্ট্রে চলে যান। এরপরে বিজেপি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে লো-কনফিডেন্স-মোশন আনে। বহু টালবাহানা ও আইনি লড়াইয়ের পর, কর্নাটকে পতন হয় কুমারস্বামী সরকারের। ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বিজেপি। কিন্তু, আদালত জানিয়ে দেয় ইস্তফা দেওয়া ১৫ জন বিধায়ক – এই বিধানসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর সেই ফাঁকা থাকা আসনেই এবার হতে চলেছে উপনির্বাচন – যা নিয়ে টানটান উত্তেজনা দক্ষিণের এই রাজ্যে। আপনার মতামত জানান -