এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পড়ে রয়েছে ১৫ হাজার কোটি, নেই কোনো মালিকানা – জেনে নিন বিস্তারিত

পড়ে রয়েছে ১৫ হাজার কোটি, নেই কোনো মালিকানা – জেনে নিন বিস্তারিত

ভারতবর্ষের মতো জনবহুল দেশে  মালিক বিহীন সম্পদ হোক বা সম্পত্তি দুটোর খোঁজ পাওয়া মানে তা দিনের আকাশে তারা দেখার সামিল। কিন্তু অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই ঘটেছে। দশ- বিশ টাকা নয়  প্রায় ১৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকার কোনো মালিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।

প্রসঙ্গত জাতীয় বিমা নিয়ামক সংস্থা আইআরডিএ-র দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যাচ্ছে ২০১৮ সালের ৩০ শে মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার কোনও দাবিদার পাওয়া যায়নি। এই টাকা উদ্বৃত্ত হিসেবে পড়ে রয়েছে মোট ২৩টি বিমা সংস্থার কাছে। সংস্থা গুলি কোনো বৈধ দাবিদারের অভাবে সেই টাকা নিজেদের কাছে সুরক্ষিত রেখেছে। এই ঘটনায় স্বভাবতই অনুমান করা হচ্ছে যে পলিসি-হোল্ডার বা তাদের উত্তরাধিকারীরা হয় এই টাকা সম্পর্কে সঠিকভাবে ওয়াকিবহাল নয় অথবা আয়করের বিভাগের নজর এড়াতে  এই বিমার টাকা দাবি করতে ভরসা পাচ্ছেন না।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

এই অবাস্তব ঘটনায় বিস্মৃত খোদ আইআরডিএ ও তবে জাতীয় বিমা নিয়ামক সংস্থা এই উদ্ধৃত্ত টাকার মালিকের খোঁজে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এদিকে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই টাকা তাঁর বৈধ মালিকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ইনসুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বিমা সংস্থাগুলিকে ওয়েবসাইটে সঠিক তথ্য দিয়ে টাকা পাওয়ার আবেদনপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও যদিও এই উদ্বৃত্ত অর্থের বৈধ মালিকের কতদূর খোঁজ পাওয়া যাবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

কারণ এর আগেও একাধিকবার সংস্থাগুলির তরফে সমস্ত নথিপত্র ঘেঁটে টাকার মালিকের খোঁজ করা হয়েছিলো কিন্তু এতে কিছুই উপকার হয়নি। উল্লেখ্য এই  উদ্বৃত্ত ১৫ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার মধ্যে ১০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা শুধু এলআইসির অধীনেই পড়ে রয়েছে । অবশিষ্ঠ প্রায় ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা রয়েছে ২৩টি বেসরকারি বিমা সংস্থার অধীনে।আগামী দিনে এই টাকার মালিকা হিসেবে যদি কেউ দাবি করেন সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রমান পত্র হিসেবে বিমা পলিসির নম্বর, পলিসির বৈধ কাগজপত্র, প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড প্রভৃতি যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!