এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ১৬-এর চেনা ছকেই ২১-এও বাজিমাতের পরিকল্পনা? বিধানসভার আগে মমতা দিতে চলেছেন মাস্টারস্ট্রোক?

১৬-এর চেনা ছকেই ২১-এও বাজিমাতের পরিকল্পনা? বিধানসভার আগে মমতা দিতে চলেছেন মাস্টারস্ট্রোক?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে তিনি যেমন বিরোধীদের কটাক্ষ করে ছিলেন, ঠিক তেমনই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি নিজে প্রার্থী বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ সেই সময় তৃণমূলের নানা বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তা দমানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে হয়েছিল। কেননা প্রায় সকলেই জানেন, তৃণমূলের একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেক্ষেত্রে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের জিততে হলে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সামনে আনতে হবে, তা বলাই যায়। তাই সেই পরিস্থিতিতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের জয়লাভ করানোর জন্য তিনি নিজেই সব আসনে প্রার্থী। তাই তার মুখের দিকে তাকিয়ে সকলে যেন তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেয়, এমনটাই আবেদন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর বর্তমানে বিজেপির উত্থানে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত চিন্তার মুখে পড়তে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে 2016 সালের ফর্মুলা আবার 2021 এর মুখে লাগু করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তিনিই পর্যবেক্ষক। আর তারপর থেকেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন, গত লোকসভার পর প্রশান্ত কিশোরকে এনে দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা হলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলে দাবি একাংশের। কেননা বিভিন্ন জায়গায় সেই প্রশান্ত কিশোরের সিদ্ধান্তের জন্য তৃনমূলের বিদ্রোহ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। একাধিক বিধায়ক প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, কর্পোরেট সংস্থাকে দিয়ে দলের উন্নতি হয় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এই অবস্থায় যদি দলের সবাইকার ক্ষোভ মেটাতে হয় এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সক্রিয় হতে হবে বলে দাবি করেছিলেন সকলে। কেননা এমনিতেই শুভেন্দু অধিকারীর মত দলের শীর্ষ নেতা দল ছাড়তে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি দল ছাড়লে অনেকেই তার পথ অনুসরণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের রাশ ধরতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2016 সালের মত ময়দানে নামতে উদ্যত হলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2016 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন প্রতিটি বিধানসভায় তিনিই প্রার্থী। আর তার এই কথাতে আশ্বস্ত হয়ে তৃনমূলের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ঘাসফুল শিবির ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। আর এখন তৃনমূলের অন্দরে যখন বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছিল এবং বিরোধীরা চাপ দিতে শুরু করে তৃনমূলকে, তখন শাসকদল সেই চাপে জেরবার হয়ে উঠেছিল।

তাই এবার গোটা পরিস্থিতির সমাধান করতে 2016 সালের নির্বাচনের মতই নিজে মুখ হয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে দলে আরও বেশি নজর দেওয়ার কথা বলে যেমন নেতা কর্মীদের বার্তা দিলেন, ঠিক তেমনই বিরোধীদেরকেও বুঝিয়ে দিলেন, তৃনমূলের মুখ একমাত্র তিনি। তবে অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফর্মুলা প্রয়োগ করে সাফল্য পেলেও 2021 এ বিজেপির গেম প্ল্যানের কাছে তার এই ফর্মুলা খাটে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!