এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ভিনরাজ্যের নার্সরা পালাচ্ছেন রাজ্য ছেড়ে! এদিকে PPE চাইতেই শোকজ রাজ্যের ১৬ নার্সকে!

ভিনরাজ্যের নার্সরা পালাচ্ছেন রাজ্য ছেড়ে! এদিকে PPE চাইতেই শোকজ রাজ্যের ১৬ নার্সকে!


রাজ্য ছাড়তে চাওয়া নার্সদের সংখ্যাটা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। রবিবার পর্যন্ত রাজ্য ছেড়ে যাওয়া নার্সের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় 500 তে। আরও বেশ কিছু নার্স রাজ‍্য ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এ রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঘিরে কি এমন হলো, যার জন্য বাংলা ছাড়তে হচ্ছে কর্মোদ্যোগী নার্সদের? অন্যদিকে রাজ্য ছেড়ে নার্সদের চলে যাওয়ার বিষয়টির সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।

সেটি হলো, এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে কেওয়াকোল গ্রামীণ হাসপাতালে 16 জন নার্সকে একসঙ্গে শোকজ করা হলো। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উঠে আসলো অন্য ছবি। সম্প্রতি এ রাজ্য থেকে নার্সদের একে একে বিদায় নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে নতুন করে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সামাজিক স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মেদিনীপুর গোয়ালতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে 16 জন নার্স একসাথে একসাথে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান।

সে কারণে তাঁদেরকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত 12 ই মে গোয়ালতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে 16 জন নার্সকে একসাথেই শোকজ করা হয়। চার দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয় উক্ত 16 জন বিক্ষোভকারী নার্সদের কাছে। সেই মতো শনিবার বিকেলে 16 জন নার্স মুখ বন্ধ খামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের জবাব দিয়েছেন বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের সিস্টার ইন চার্জ চন্দ্রা সিংহ সংবাদমাধ্যমকে কোনো রকম জবাব দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘নার্সদের শো-কজের জবাব পেয়েছি। এর বেশি কিছু বলব না।’ এই ঘটনার সূত্রপাত গত 9 ই মে হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেওয়াকল গ্রামীণ হাসপাতালে অন্তর্বিভাগের 16 জন নার্স বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল কিছুদিন ধরেই। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেদিন ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রসেনজিত দাসের কক্ষের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ শুরু করেন।

আর তার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল, পিপিই সরবরাহ করতে হবে। একই সমস্যা নিয়ে তারা বিএমওএইচ এর ঘরের ভেতরেও একসাথে ঢুকে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, নার্সদের কার্যকলাপের ব্যাপারে। তাঁদের মতে, রাজ্যে যখন করোনা পরিস্থিতির জেরে সামাজিক বিধি নিষেধ করা হয়েছে, তাহলে সেই বিধিনিষেধ না মেনে, সামাজিক দূরত্ব না মেনে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মরত নার্সরা একযোগে দাবি জানান, তাহলে সেটা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না।

অন্যদিকে লকডাউন নিয়ম অমান্য করার অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 16 জন নার্সকে আলাদা আলাদা ভাবে শোকজের নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এই নিয়ে হাসপাতালের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় তীব্র বিতর্ক। এই প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ‘এটা তেমন কিছু বিষয় নয়, প্রশাসনিক ব্যাপার।’ অন্যদিকে বোঝাই যাচ্ছে, নার্সদের বিক্ষোভ এবং শোকজের ব্যাপার নিয়ে হাসপাতালে অন্দরেই দুটি দল বিভক্ত হয়ে গেছে।

তবে এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নার্সরা যেরকম পিপিই সরবরাহ করা থেকে শুরু করে অন্যান্য অসুবিধ নিয়ে বিক্ষোভ জানিয়েছেন সেটা যেমন ঠিক, তেমনি লকডাউন এর নিয়ম ভেঙে সামাজিক দূরত্ব না মেনে এভাবে একজোট হয়ে যেভাবে বিক্ষোভ দেখালেন সেটাও ঠিক নয়। এর ফলে রোগী এবং তার আত্মীয় স্বজন যারা হাসপাতালে আসেন তাঁদের কাছে একটা ভুল বার্তা পৌঁছাবে। আপাতত যেখানে রাজ্য থেকে একে একে নার্সরা রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, সেখানে একযোগে 16 জন নার্সকে শোকজ করায় পরিস্থিতি যে আরও জটিল হয়ে গেল, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই বলে দাবি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!