এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ১৬-এর জয়ী বিধায়ক নন, প্রার্থীপদের জন্য গুরুত্ব পাবেন স্বচ্ছ মুখের ঘরের ছেলেই? বাড়ছে জল্পনা

১৬-এর জয়ী বিধায়ক নন, প্রার্থীপদের জন্য গুরুত্ব পাবেন স্বচ্ছ মুখের ঘরের ছেলেই? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দুবার নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা। গত ২০১১ ও ২০১৬ সালে পরপর দুবার জয়লাভ করেছেন তিনি। তবে, অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক হবার পরও তাঁকে বেশি একটা দেখা যায়না বিধানসভা কেন্দ্রে। তিনি থাকেন কলকাতায়, একটা সময় কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি তিনি যাতায়াত করেছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ কালে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর অনুপস্থিতির কারনে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তাই এবার স্বচ্ছ মুখের অধিকারী জলপাইগুড়ির কোন ভূমিপুত্রকেই প্রার্থী করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে কংগ্রেস। তবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো গ্রহণ করেনি দল।

দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই নতুন প্রজন্মের কোন এক স্বচ্ছ মুখের অধিকারীকে প্রার্থী করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে কংগ্রেস। একজন তরুণ শিক্ষকের নাম ইতিমধ্যেই পছন্দের তালিকায় এসে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়নি। সম্প্রতি বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা জলপাইগুড়িতে আসতে চলেছেন, তাঁর সঙ্গে বৈঠক করবে জেলা নেতৃত্ব।

এরপরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। অনেকেই মনে করছেন যে, কোন বহিরাগতকে প্রার্থী করা হলে অনেক সময় তাদের উপস্থিতি দেখা যায় না। বিধায়ক দীর্ঘদিন ধরে শহরে না আসায় বারবার কটাক্ষ্য করা হয়েছে বিধায়ককে। শহরবাসী থেকে শুরু করে একাধিক বিরোধী শিবির এ বিষয়ে অভিযোগ তুলেছে। তাই দুবারের বিধায়কের পরিবর্তে অন্য কোন তরুণ মুখকে সামনে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দল মনে করছে, তরুণ কোন মুখকে সামনে আনতে পারলে নির্বাচনে জয়লাভের রাস্তা যেমন প্রশস্ত হবে, তেমনি দলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোন নতুন প্রজন্মর নেতাকে মূল রাজনীতিতে তুলে আনা সম্ভব হবে। এছাড়াও বহিরাগত তকমাটিও ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হবে। করোনা সংক্রমণ কালে বিধায়ক দীর্ঘদিন না আসায়, যে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তার মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। বিধায়ক নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাছাড়া বয়সের কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়িতে দেখা যায়নি বিধায়ককে। এই সমস্ত বিষয় চিন্তা করেই এবার এই কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাও করতে পারেন, বলে মনে করছেন অনেকে।

এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত জানালেন যে, বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়িতে আসছেন। তিনি এলে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করার পর সমস্ত কিছু ঠিকঠাক করা হবে। তবে, সবটাই নির্ভর করছে পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর। এখনই এ বিষয়ে কিছু জানাতে চান না তিনি। বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করে, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

আবার, এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা জানিয়েছেন যে, বুধবার তিনি আসছেন জলপাইগুড়িতে। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য তিনি কি কি কাজ করেছেন? তখন তিনি তার উত্তর দেবেন। তবে এবার নির্বাচনে দাঁড়াতে তিনি ইচ্ছুক নন। নতুন প্রজন্ম থেকে উঠে আসা, ঘরের কোন ছেলেকে প্রার্থী করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, যদি ঘরের ছেলেকে প্রার্থী করা হয় তবে, এলাকার মানুষেরা উপকৃত হবেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। আবার, জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র বেশ কয়েকবার কংগ্রেসের দখলে থেকেছে। একটা সময় ডাক্তার অনুপম সেন, দেবপ্রসাদ রায়ের মতো মানুষেরা এই কেন্দ্রের বিধায়ক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে সুখবিলাস বর্মা পরপর দুবার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে কাকে প্রার্থী করা হবে? সে দিকেই নজর রয়েছে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!