এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বারেবারে চরিত্র বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস! ধরিয়ে দিতে ভরসা দুই বাঙালি মস্তিস্ক

বারেবারে চরিত্র বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস! ধরিয়ে দিতে ভরসা দুই বাঙালি মস্তিস্ক

বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে করো না পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে প্রত্যেকে করোনার হাত থেকে মুক্তির পথ খুঁজে চলেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন কোণে বড় বড় বিজ্ঞানীরা এবং গবেষকরা করোনাকে জয় করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রবলভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে প্রতিষেধক এবং ওষুধ আবিষ্কারের। তার মধ্যেই অবশ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মিউটেশনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তাদের জিন পরিবর্তন করছে। যার ফলে নির্দিষ্ট প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে দুই বাঙালি বিজ্ঞানী করোনার বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সবথেকে সংক্রামক ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করেছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স’ এর দুই বাঙালি বিজ্ঞানী নিধানকুমার বিশ্বাস ও পার্থপ্রতিম মজুমদার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের বিস্তারিত গবেষণাপত্রটি প্রকাশ পেয়েছে ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চে। আমরা প্রত্যেকেই জানি, চীনের ইউহান প্রদেশ থেকেই এই করোনার উৎপত্তি হয়েছে।

এরপর ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। বিজ্ঞানী পার্থপ্রতিম মজুমদার জানিয়েছেন, অনবরত মিউটেশন এর পরিবর্তনের ফলে ভাইরাসটির গঠনের পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে জানা গেছে, ‘সার্স-কোভ-২’ একটি আরএনএ ভাইরাস। এই আরএনএ ভাইরাস জিনোম এর সামান্য অদলবদল করেই রূপ নেয় মারাত্মক আকারের। সে ক্ষেত্রে ভাইরাস বেঁচে থাকার জন্য কোন প্রাণীর শরীর দখল করে। এক্ষেত্রে যা মানুষ। এবং তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক মাত্রায়।

এতদিন ধরে এই দুই বাঙালি বিজ্ঞানী করোনা ভাইরাসের আরএনএ সিকোয়েন্সে দিকে নজর রাখছিলেন। এ নিয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন বলে জানা গেছে। এদিন এই দুই বাঙালি বিজ্ঞানী জানান, এখনও পর্যন্ত করোনার মোট 11 টি টাইপ ধরা পড়েছে। যার মধ্যে চীনে সংক্রমণ ঘটায় ‘ও’ টাইপটি। বাকি দশটি পরবর্তীকালে তৈরি হয়েছে। এখন তাদের মধ্যে সবথেকে সংক্রামক হলো ‘এ২এ’। বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকায় সবথেকে বেশি এই টাইপটি দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশেও সেখান থেকেই এসেছে ‘এ২এ’, আবার চীন থেকে এসেছে ‘ও’। অন্যদিকে ইরান থেকে এসেছে, ‘এথ্রি’।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে নিধানকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, ”এ২এ এবং ও, দু’টোই শক্তিশালী। তবে এ২এ বেশি শক্তি ধরে।” এর কারণ হিসেবে দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, সাধারণত ফুসফুস থেকে সংক্রমণ ছড়ায় করোনা ভাইরাস। এর স্পাইকে থাকা গ্লাইকোপ্রোটিন মানুষের ফুসফুসে থাকা ‘এসিই২’ প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। এক্ষেত্রে করোনার স্পাইকে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিডটি ‘অ্যাসপারটিক অ্যাসিড’ থেকে বদলে ‘গ্লাইসিন’ এ পরিণত হচ্ছে।

যার ফলে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। প্রতিষেধক আবিষ্কার এর ক্ষেত্রে এই দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস এর বারংবার জিনগত পরিবর্তনের ফলে এর প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরি করা যথেষ্ট কঠিন কাজ হচ্ছে। কারণ এই ভাইরাস সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে প্রতিষেধক তৈরি করলে তা কোন ভাবেই কাজ করবে না মানুষের শরীরে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে যতদিন না করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন করোনাকে ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে প্রত্যেককে।

এবং তার সাথে অতি সতর্ক ও সচেতনভাবে চলাফেরা করার সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই অনুযায়ী এখন করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। দেখা যাচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও বিশ্বের বহু দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে দাবি করছে, তাঁরা করোনার প্রতিষেধক নিয়ে আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। আপাতত সে দিকেই নজর সারা বিশ্বের মানব জাতির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!