এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তেলিনিপাড়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে প্রশাসনের ঘুম ওড়াতে আসরে দুই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ!

তেলিনিপাড়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে প্রশাসনের ঘুম ওড়াতে আসরে দুই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ!


একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে হুগলির দুই এলাকায় ভয়াবহ গোষ্ঠী সংঘর্ষ। দুটি ঘটনা যেন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যত সময় যাচ্ছে, তত যেমন করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক তেমনই গোষ্ঠী সংঘর্ষ এবং হিংসার ঘটনা কোনোভাবেই থামার নাম নিচ্ছে না হুগলির ভদ্রেশ্বর এবং তেলিনিপাড়ায় বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি হুগলির এগারোটি থানা এলাকায় ইন্টারনেট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, এবার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হুগলি জেলা শাসকের অফিসের সামনে নীরব প্রতিবাদ দেখালেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।

যে ঘটনা বর্তমানে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বস্তুত, হুগলির তেলিনিপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনার পরেই নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “আপনাদের লজ্জা লাগে না! এই সময় হিন্দু-মুসলমান করছেন! বিধানসভা ভোট তো পরের বছর। এখনই কেন দাঙ্গা করছেন! হিন্দু-মুসলিম না করে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় কাজ করছে, তাদের পাশে দাঁড়ান। এত হিন্দু-মুসলিম করবেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান একথা বলে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেও, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরেরদিন লকডাউন মেনে কার্যত নীরব প্রতিবাদে বসলেন বিজেপির দুই সাংসদ। সূত্রের খবর, এদিন অবস্থান বিক্ষোভে বসে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন, কোনো দল না দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কোথায় কি! এখনও আগুন জ্বলছে। পুলিশ কমিশনার আমার সঙ্গে দেখা করছেন না। ভদ্রেশ্বর থানার ওসি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জেলাশাসক বলছেন অ্যাপয়েনমেন্ট করে আসতে হবে। আমি একজন সাংসদ। আমাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে আসতে হবে মানুষের কথা বলার জন্য! সর্বত্র আমাদের আটকানো হচ্ছে। একজন সাংসদকে আজকে লুকিয়ে আসতে হবে! এটা বাংলার অবস্থা!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাদের জনপ্রতিনিধি থাকা সত্বেও প্রশাসন তাদেরকে গুরুত্ব দেয় না বলে বারবার সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর লকডাউনের এই মুহূর্তে যখন তেলিনিপাড়ায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ হচ্ছে, ঠিক তখনই প্রশাসনের সাথে দেখা করতে চেয়েও কাজ হচ্ছে না বলে সরব হয়ে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিংহ।

তবে তেলিনিপাড়ায় যখন উত্তেজনা চরমে, ঠিক তখনই গোটা ঘটনার নিষ্পত্তি চেয়ে যেভাবে বিজেপির দুই সাংসদ জেলাশাসকের অফিসের সামনে নীরব প্রতিবাদে বসলেন, তাতে জেলা প্রশাসন অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। বিজেপি যে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সহজে ছেড়ে দেবে না – তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে হুগলির মত জেলা, যেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি করেছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!