এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > দুই হেভিওয়েটের মাঝে ঘোরাফেরা করছে আরও তিন জনপ্রিয় নাম – মালদা-উত্তর আসন নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা কংগ্রেসের অন্দরে

দুই হেভিওয়েটের মাঝে ঘোরাফেরা করছে আরও তিন জনপ্রিয় নাম – মালদা-উত্তর আসন নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা কংগ্রেসের অন্দরে

উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নূর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর যে প্রশ্নটা রাজনৈতিকমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে সেটা হল- মৌসম নূরের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী কে হবেন? মৌসম দলবদলের পর কোলোয়ালি পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরীকেই লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে রেখেছিল প্রদেশ কংগ্রেস।যদিও ইশার প্রার্থীপদকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট জটিলতা প্রথম থেকেই ছিল।

এরপর এআইসিসি জেলা কংগ্রেস সভাপতি পদে মোস্তাক আলমকে বসাতে বাজি পাল্টে যায়। ইশাকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে দলের অধিকাংশ কর্মী-সমর্থকদের। এই প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান বুঝে নেওয়াটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধরে নিয়েছেন ইশা খান।

এদিকে একই আসনে দীপা দাশমুন্সিকেও চাইছেন দলের এক গোষ্ঠী। এছাড়া প্রার্থী হতপ আগ্রহ দেখিয়েছেন মোস্তাক আলম,আসিফ মেহেবুব বা ভূপেন্দ্রনাথ হালদারের মতো দলীয় বিধায়করাও। ফলত উত্তর মালদা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থীপদ নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।

ইশা খানের ঘনিষ্ঠমহলে তাঁক প্রার্থী হওয়ার পক্ষে সওয়াল তুলে বলেন,কংগ্রেসের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক ইশা খান। দলকে কখনোই হতাশ করেননি তিনি। ভোটযুদ্ধে জয়লাভ করতে নিজের একশো শতাংশই দিয়েছেন সবসময়। প্রসঙ্গত,২০১১ সালে রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে সিপিএমের প্রাণকেন্দ্র বৈষ্ণবনগরের কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন ইশা খান। এবং সেখানে বিপুল ভোটে বিরোধীদের পরাজিত করে দলকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি।

গত বিধানসভা ভোটেও তাঁকে সুজাপুর আসনে নিজের জ্যাড়া আবু নাসের খান চৌধুরীর (লেবু) বিরুদ্ধে প্রার্থী করে নিরাশ হয়নি দল। সেবারও বিপুল ভোটে জয় হাসিল করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন ইশা। এই প্রেক্ষিতে ইশা খানকেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা সংগত হবে এমনটাই দানী ইশা খান অনুগামীদের। ইশা খানের বক্তব্য,এই আসনে মৌসমের বিরুদ্ধে লড়াইকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। এআইসিসি সিদ্ধান্ত জানালেই প্রচারের কাজ শুরু করে দেব।”

উত্তর মালদা কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার তালিকায় রয়েছেন দীপা দাশমুন্সিও। দীপা অনুগামীদের যুক্তি,চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকা একসময় রায়গঞ্জ লোকসভা এলাকায় ছিল এবং রায়গঞ্জের সাংসদ হিসেবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির জনপ্রিয়তা ছিল এলাকায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো যেতে পারে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপা দাশমুন্সিকে প্রার্থী করে। তাছাড়া এবারের ভোটে সিপিএম-কংগ্রেসের জোটের একটা প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বাম-কংগ্রেস গাঁটছড়া বাধে তবে রায়গঞ্জ আসনটি নিশ্চিতভাবে সিপিএম দাবী করবে এবং সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে উত্তর মালদার আসনটির জন্যে দীপাই যোগ্য দাবীদার। দীপা নিজেও এই আসনটিতে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে সদ্য জেলা সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত মোস্তাক হোসেনও উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীপদের দৌড়ে রয়েছেন। দলের এক গোষ্ঠী নয়া জেলা সভাপতিকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী পদে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। মোস্তাক নিজেও বলেছেন,”দল চাইলে প্রার্থী হতে আপত্তি নেই”।

এদিকে প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে নেই চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহেবুবও। তিনিও প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তালিকায় রয়েছেন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথও। উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীপদ নিয়ে যতোই দড়ি টানাটানি চলুক না কেন প্রার্থী চূড়ান্ত করবে এআইসিসি,এমনটাই জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক মহম্মদ জাভেদ। তবে প্রার্থী যেই হউক না কেন লোকসভা ভোটের মুখে উত্তর মালদা কংগ্রেস শিবিরে অন্তর্দ্বন্দ্ব চায় না কর্তৃপক্ষ।

এমনিতে মৌসম নূরের দলবদলের জেরে সংগঠনে জোর ধাক্কা লেগেছে। এই প্রেক্ষিতে প্রার্থী পদ নিয়ে যেকোনো ধরণের জটিলতা এড়াতে কী সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেসের হাইকমান্ডার তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে দলীয় অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!