এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাদ পড়তে চলেছেন দুই হেভিওয়েট নেতা? তৃণমূলের অন্দরমহলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা চরমে

বাদ পড়তে চলেছেন দুই হেভিওয়েট নেতা? তৃণমূলের অন্দরমহলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা চরমে


লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরই বিভিন্ন জেলার দলীয় সংগঠনে বদল আনেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে ছিল কোচবিহার জেলা। সভাপতি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে। পাশাপাশি কার্যকরী সভাপতি করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষেরই চরম বিরোধী বলে পরিচিত পার্থপ্রতিম রায়কে।

এদিকে জেলায় নতুন কমিটি গঠন হওয়ার সাথে সাথেই, জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জেলার নয়টি বিধানসভার মধ্যে সাতটি বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করে দিল। তবে যে কোচবিহার জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে এত বীতশ্রদ্ধ ছিল তৃণমূল, বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি গঠন হওয়ার সাথে সাথে ফের দলীয় স্তরে অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করল।

জানা গেছে, মেখলিগঞ্জ বিধানসভায় প্রাক্তন ব্লক সভাপতি লক্ষীকান্ত সরকারকে যেমন কমিটিতে রাখা হয়নি, ঠিক তেমনই সেই কমিটিতে রাখা হয়নি লোকসভা ভোটে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী পরেশ অধিকারীকেও। ফলে মেখলিগঞ্জ বিধানসভায় এই দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার নাম কেন কমিটিতে থাকল না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, লক্ষীকান্ত সরকার মেখলিগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদে থাকার সময় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল তাকে। যার জেরে একসময় তাকে পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছিল। তবে বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, মাঝে বিধায়ক অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ব্লক সভাপতির ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এবার জেলা কমিটি গঠনের পর বিধানসভা ভিত্তিক যে কমিটিগুলো গঠন হয়েছে, সেখানে অর্ঘ্য রায় প্রধানের অনুগামীরা বেশি প্রাধান্য পাওয়ায় এবং লক্ষীকান্ত সরকার ও তার অনুগামীদের নাম না থাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। একইভাবে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পরেশ অধিকারী, যিনি এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী থাকলেও পরাজিত হয়েছেন, তাকেও মেখলিগঞ্জের বিধানসভা ভিত্তিক কমিটিতে না রাখায় তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।

কেন তাদের কমিটিতে রাখা হল না! এদিন এই প্রসঙ্গে মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি লক্ষীকান্তবাবু বলেন, “আমাকে কেন বিধানসভা ভিত্তিক কমিটিতে রাখা হয়নি তা বুঝতে পারছি না। আমি প্রথম থেকে দলটা করতাম। কমিটিতে জায়গা না হওয়ায় কোনো অভিমান নেই। একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব। তবে যা হয়েছে তাতে আমি মর্মাহত।”

এদিকে এই ব্যাপারে পরেশ অধিকারী ‘অসুস্থ থাকায়’ এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানান নি। তবে এই প্রসঙ্গে মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, “আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব কমিটি তৈরি করেছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।” কিন্তু কেন দুই হেভিওয়েট নেতাকে বাদ রেখে এই কমিটি তৈরি করা হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃনমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “আমরা কাউকেই দলে গুরুত্বহীন করে রাখতে চাইছি না। পরেশবাবু বা লক্ষীকান্ত সরকারকে পরবর্তীতে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।” কিন্তু ঘটনা যাই হোক – এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনে প্রমাণিত গেরুয়া শিবিরের তুমুল উত্থান হয়েছে জেলায়। তার উপরে দুই হেভিওয়েট নেতাকে এইভাবে বাদ দেওয়ায় আরও ঘোরালো হল শাসকদলের আভ্যন্তরীন রাজনীতি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!