২০০-এর মেজাজি জয়েও হারের ক্ষত ভুলতে নারাজ তৃণমূল! খুঁটিয়ে তৈরী হচ্ছে স্পেশ্যাল রিপোর্ট তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির সঙ্গে লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস দু’শোর বেশি আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে অতীতে 2011 বা 2016 সালের তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও, ক্ষমতা দখলের পর সেভাবে সংগঠনের দিকে নজর দিতে দেখা যায়নি তাদের বলেই অভিযোগ ওঠে দলের অন্দরে। কিন্তু 2021 সালে বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ের পর অতীতের থেকে বেশি আসন পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস এবার সংগঠনের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে কোথায় কিভাবে পরাজয় হয়েছে, তা রীতিমত খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করেছে জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব। অর্থ্যাৎ ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই যে সমস্ত জায়গায় পরাজয় বা খারাপ ফলাফলের সম্মুখীন হয়েছে শাসকদল, তা মেরামত করতে রিপোর্ট তৈরির দিকে নজর দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। জানা গেছে, এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার 16 টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে 9 টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বাকি 7 টি আসনে জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সাতটি আসনে কেন পরাজয় হল, তা নিয়ে এখন রীতিমত আলোচনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে শিশির অধিকারী, একসময় অধিকারী পরিবারের দখলেই ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। অধিকারী পরিবারের সদস্যরাই তৃণমূলের সংগঠনে এখানে শেষ কথা বলতেন। কিন্তু এই দুইজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যার ফলে তৃণমূল এখানে দাগ কাটতে পারবে না বলেই মনে করেছিল একাংশ। কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু আসন তৃণমূলের দখলে এসেছে। তবে বাকি আসনগুলো কেন বিজেপির দখলে গেল, এটাই এখন চিন্তার কারণ শাসক শিবিরের কাছে। তবে দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের নীচুতলার অনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অধিকারী পরিবারের সদস্যরা বিজেপিতে যাওয়ার পরেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছিলেন। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কারণেই বেশ কিছু আসনে ঘাসফুল শিবির অন্তর্ঘাতের জেরে পরাজিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেদিক থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে কারা কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা খুঁজে বের করে ওপরতলায় রিপোর্ট পাঠানোই প্রধান কাজ তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। আর সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত বিধানসভায় যারা যারা দায়িত্বে ছিলেন, সেখানকার ব্যক্তিগত রিপোর্ট সেই সমস্ত নেতাদের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অতীতের মত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করার পর বসে থাকা নয়, বরঞ্চ বিরোধীদের দখলে কোন কোন আসন গিয়েছে এবং কেন গিয়েছে, তা খুঁজে বের করাই এখন প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। অর্থাৎ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সাংগঠনিক শ্রীবৃদ্ধি করতে যে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “বিধানসভা ভোট এবং ভোট পরবর্তী সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দলের প্রার্থী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটরদের পৃথকভাবে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সংগঠন মজবুত থাকা সত্ত্বেও কেন আমরা বাকি আসনগুলোতে পারিনি, তার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে এবার কোন নেতার বিরুদ্ধে কি রিপোর্ট জমা হয় দলের ওপরতলায়, সেটাই লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা নেতৃত্ব যদি নিজেদের মত করে রিপোর্ট তৈরি করে সঠিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট পাঠায়, তাহলে দল বেশ কিছু জায়গায় রদবদল করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পরাজিত আসনগুলো নিয়ে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অন্তর্তদন্তের পর কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -