এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ২০০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দেখেও কেন এমন ফলাফল বিজেপির? কারণ খোলসা করলেন বাবুল সুপ্রিয়

২০০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দেখেও কেন এমন ফলাফল বিজেপির? কারণ খোলসা করলেন বাবুল সুপ্রিয়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল বিজেপি, কিন্তু মাত্র ৭৭ টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। দলের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও পশ্চিমবঙ্গে একেবারে মুখ থুবরে পড়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই শোচনীয় পরাজয়ের কারণ কি? এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। গতকাল নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করলেন বাবুল সুপ্রিয়।

বাবুল সুপ্রিয় জানালেন, এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে তাঁরা জয়লাভ করবেন। তিনি জানালেন,উই শ্যাল উইন বিকজ অব দিস লস। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজিত হবার পর বার্সেলোনার কোচ প্রবাদপ্রতিম জোহান ক্রুয়েফ এই বিখ্যাত লাইনটি বলেছিলেন। ব্যর্থতা থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় তা অমূল্য।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, আবার পরাজয়ের পর অনেকেই তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। তাদের সম্পর্কে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন যে, তাঁরা দলে আসাতে বিজেপির উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়েছিল। এখন তাঁরা বিজেপি ছেড়ে দিয়ে বিজেপির উপকারই করছেন।

বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেছেন, অনেককেই ভয় দেখিয়ে, জোর করে দলে টেনে নিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ভোট গণনার দিনে দলের কর্মীদের অনভিজ্ঞতার কারণে বিজেপির পরাজয় এসেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোট গণনা কেন্দ্র গুলোতে বিজেপি পরাস্ত হয়েছে। বিজেপির নতুন ও অনভিজ্ঞরা অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের কাছে পরাজিত হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেছেন, গণনা কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। হুমকিতে সন্ত্রস্ত হয়ে বহু কাউন্টিং এজেন্ট বাইরে চলে এসেছিলেন। বহু জায়গায় ৫,৬ রাউন্ডের পরেই এমনটা হয়েছে। তিনি নিজের চোখে সব দেখেছেন। কিন্তু এদের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোন উপায়ের কথা সে সময় দল চিন্তা করেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল যেন এটা ভুলে না যায় যে বিজেপি সওয়া দু’কোটি মানুষের সমর্থন লাভ করেছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন। বাবুল সুপ্রিয়র এই পোষ্ট অনেকে শেয়ার করেছেন। অনেকে তাঁর প্রতি সহমত ব্যক্ত করেছেন, আবার অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তিনি মন্তব্যের পাল্টা উত্তর করেছেন, অনেক ক্ষেত্রে তা এড়িয়েও গেছেন।

যেমন এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে, কোন দল নিরাপত্তা দিতে পারে না, কিন্তু সহানুভূতি নিয়ে পাশে দাঁড়াতে পারে। নির্যাতিত, নিহত,আহতদের পাশে না দাঁড়ানোর যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাতে সওয়া দু’কোটির একাউন্টে ভাটা পড়তে বেশি সময় লাগবে না। মাত্র পাঁচজন নিয়ে বলিদান দিবস পালন করা হচ্ছে, থানায় ডেপুটেশন দিতে গেলে পাওয়া যাচ্ছে ছ জন, অত্যাচারীদের পাশে দাঁড়ায়নি নেতৃত্ব। কিছু নেতার ফোন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর উত্তরে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমনের কারণে তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার পর তিনি দিল্লি চলে যান নি। তিনি কোন অজুহাত দিতে চান না।

আবার, এক ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, বাংলা রাজনীতিতে যদি টিকে থাকতে হয়, তবে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। বোলপুরের যে সমস্ত বুথে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছিল, সেখানে বিজেপি কর্মীদের স্যানিটাইজার দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় দিল্লি থেকে শ্রীনগর সফর করছেন, কিন্তু বোলপুরে আসছেন না। তারকেশ্বরের প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত ভোটের পরদিনই চলে গেছেন দিল্লিতে। কর্মীদের পাশে দাঁড়ায় নি দল। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ একেবারে প্রার্থী মাটি কামড়ে পড়ে আছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!