এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 2 হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পথে আলু ব্যবসা – মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

2 হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পথে আলু ব্যবসা – মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

এবার হিমঘরে আলু রাখায় প্রায় 2 হাজার কোটি টাকার মত লোকসান আসায় তীব্র শঙ্কা তৈরি হয়েছে ব্যাবসায়িক মহলে। জানা গেছে, এর জেরে ব্যাবসায়ীদের প্রবল মন্দা তৈরি হওয়ায় পরবর্তী মরশুমে একটি প্রভাব পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে আলু কিনে হিমঘরে মজুত করতে যা খরচ হয়েছে তার বাজারে বিক্রি করে ঠিকমত লাভ না হওয়াতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছর মার্চ মাসে হিমঘরে আলু ঢোকানোর সময় প্রতি কেজি আলুর খরচ পড়েছিল 10 টাকার পাশাপাশি। কিন্তু সেই 10 টাকার বদলে সেই দামের মাত্রাটি যদি 15 টাকা হত তাহলে অনেকটা লাভ হত বলে মত ব্যবসায়ীদের‌। জানা গেছে, হিমঘর থেকে যখন প্রথম পর্যায়ে আলু বিক্রি করা হয়, তখন তার সর্বোচ্চ 12 টাকা দাম মিললেও পড়ে সেই দাম দিনকে দিন কমতে থাকে। কিন্তু এখন সেই হিমঘর থেকে বের হওয়া আলু 5 টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। কিন্তু এত আলু বিক্রি করলেও এখনো পর্যন্ত প্রায় 2 লক্ষ টনের বেশি আলু সেই হিমঘরে পড়েই রয়েছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে গত বছর মরসুমে নতুন আলু ওঠার সময় বিভিন্নভাবে একটি খবর রটে যায় যে ভিন রাজ্যে আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। আর এর ফলে নতুন আলুর দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের মত প্রধান প্রধান আলু উৎপাদক রাজ্যে আলুর উৎপাদন বেশি হওয়া সত্ত্বেও বাজারে আলুর দাম চড়া না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ঋণ থেকেই এই আলুর ব্যবসার একটা বড় পুঁজি আসে। হিসাব মত একটি হিমঘর গড়ে 4 – 5 কোটি টাকা আলুর জন্য ঋণ নিয়ে থাকে। আর এর ফলেই ব্যবসায়ী মহলের একাংশের আশঙ্কা যে এই ঋণের পরিমাণ অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে দিতে পারে।

অন্যদিকে হিমঘরে মজুত 13 কোটি প্যাকেট বা বস্তার প্রতিটিতে গড়ে দেড়শো টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন হিমঘর মালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পতিতপাবন দে। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাবসায়ীদের হাতে টাকা না থাকলে আগামী মরসুমে চাষীদের কাছ থেকে আলু কেনার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। সরকারকে তাই এখন থেকেই ভাবনা চিন্তা করতে হবে।”

সব মিলিয়ে এবার দুই হাজার কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়ে মাথায় হাত আলু ব্যবসায়ীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!