এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ২০১৫ সালের টেট নিয়ে বড়সড় বিপাকে কাউন্সিল, রায় ঘোষণা হতে পারে ৩ অক্টোবর – জানুন বিস্তারিত

২০১৫ সালের টেট নিয়ে বড়সড় বিপাকে কাউন্সিল, রায় ঘোষণা হতে পারে ৩ অক্টোবর – জানুন বিস্তারিত

টার্চাস এলিজিবিলিট টেস্ট (টেট)  নিয়ে ফের জটিলতা তৈরী হল। সমস্যায় পড়ল রাজ্যের প্রাইমারি টিচার্স কাউন্সিল।  আর আগে ২০১২ সালের পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে কোলকাতা কাউন্সিলকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের পরীক্ষাতেও কাউন্সিলের তরফ থেকে ত্রুটি হয়েছিল সেটাও প্রমাণ হয়ে গেল আদালতে। কাউন্সিলের তৈরি করা উত্তরের মডেলে ছটি প্রশ্নের উওরই ভুল ছিল,এমনটাই জানিয় দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন ভরা এজলাসে রাজ্যের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এ কথাই জানিয়ে দিলেন। এ প্রসঙ্গে কোনো বিতর্ক এখনো তৈরি হয়নি। যদি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে ৩ অক্টোবর আদালতের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত,২০১৪ সালে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগেী বিজ্ঞপ্তি বেরোনোর পর ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায়  সারা রাজ্য থেকে অন্তত ৩০ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসেছিলেন। এরপর পরীক্ষার্থীদের একাংশের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য,বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়,সুদীপ্ত দাশগুপ্ত দাবী করেন প্রশ্নপত্রের ১১ টি প্রশ্ন এবং তার সঙ্গে মডেলে থাকা প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। সেকারণে মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকের ১১ করে বাড়তি নম্বর পাওয়ার ব্যাপারে সওয়াল তোলেন  তাঁরা। যুক্তি,প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার দায় পরীক্ষার্থীদের নয়। এরপর এমন অভিযোগের সূত্রে,গত ২৭ জুলাই আদালত বিশ্বভারতীকে জানিয়েছিল,অভিযোগ সত্য কিনা সে ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সিলবন্ধ খামে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দিতে। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়,তাহলে প্রাপ্য নম্বর পাবেন মামলাকারীরা। আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই এদিন ১০ টি প্রশ্ন সম্পর্কে রিপোর্ট বিশ্বভারতীর তরফ থেকে আদালতে পেশ করা হয়। তবে সব খতিয়ে দেখে বিচারপতি জানান,৬ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার পরই  উত্তীর্ণদের অনেকেই শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবনে প্রবেশ করে গেছেন। এরপর ২০১২ সালের টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলা সামনে আসে। এ বছরের ২৭ জুলাই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কাউন্সিলকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন  আগামীতে কঠোর এনসিটিই গাইডলাইন অনুসরণ করে পরীক্ষার আয়োজন করতে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে গলদ প্রমাণিত হলেও মামলাকারীদের প্রাপ্ত ৩৪ নম্বর বাড়ানো হয়নি। এমনকী বদলানো হয়নি সংশ্লিষ্ট প্যানেলও। শুধুমাত্র নিয়োগ হওয়া প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষকদের কথা ভেবেই চাকরির ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর বদলে কাউন্সিলকে কেবল এক লক্ষ টাকা জরিমানা করতে বলা হয়েছিল। এবং এর সঙ্গে এটাও বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, মামলাকারীদের বয়স বেড়ে গেলেও পরীক্ষার অন্যান্য যোগ্যতার ভিত্তিতে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এর পরিপেক্ষিতে আদালত কী রায় দেয়,সেটা নিয়েই কৌতূহল দানা বেঁধেছে মামলাকারীদের মধ্যে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!