২০১৯ এ নরেন্দ্র মোদিকে মাত দিতে নতুন ‘মন্ত্র’ নিলেন রাহুল গান্ধী জাতীয় August 10, 2018 মিশন-২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন। এই দিকে লক্ষ্য করেই জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধী সম্প্রতি একাধিক বার মোদীজিকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন। ফের একবার এদিন দিল্লির যন্তরমন্তরে তেলেঙ্গনার দলিত সংগঠন মহাদিকা সংরক্ষণ বিকাশ সমিতির আয়োজিত সভায় মোদীজির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে। এদিন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের স্লোগান-‘সাফ নিয়ত,সহি বিকাশ’ এর উল্লেখ করে তিনি জানালেন মোদীজি ‘নিয়ত সাফ’ নেই অর্থাৎ মানসিকতা পরিষ্কার নেই। প্রসঙ্গে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদীজির নিজের লেখা বই-এর একটি মন্তব্য। যেখানে মোদীজি বলেছেন,’দলিতরা যখন ঘরদোর সাফাই করে তখন খুন আনন্দ লাগে।’ মোদীজির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই রাহুল গান্ধী তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রীকে। অভিযোগে সরব হয়ে জানান,মোদীজির হৃদয়ে দলিতের জন্য কোনো জায়গাই নেই। যদি থাকতো তবে তাঁর নীতিতেই সে প্রকাশ মিলতো। কিন্তু মোদীজি দেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমশ সমাজের দূর্বল,সংখ্যালঘুদের কোনঠাসা করে দিচ্ছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। তাই ২০১৯ এর লোকসভা ভোটেই বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হঠাতে হবে। এর পাশাপাশি এটাও জানালেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের সমাজে এগিয়ে আসতে সাহায্য করবে। তাঁদের জন্য আইনি ব্যবস্থা শিথিল করবে। এতোদিন যে কংগ্রেস দলিতদের রক্ষা করে এসেছেন,এবং আগামী দিনও করবেন প্রসঙ্গে সে আশ্বাসও দিয়ে দিলেন কংগ্রেস সুপ্রিমো। এদিনের জনসভায় সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও হাজির ছিলেন। সভায় দলিতদের বেশ কিছু দাবীদাওয়া ছিল। তার মধ্যে মূল দাবী ছিল গত এপ্রিলে ভারত বনধের সময় যেসব দলিত নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়াও দলিতের নিগ্রহের অভিযোগ আছে যাদের বিরুদ্ধে তাদের হেফাজতে নিতে হবে। এ ব্যাপারে মধ্যপ্রদেশ সরকারের সত্ত্বর প্রকাশ্য বিবৃতিও দাবী করলেন দলিতরা এবং দলিতদের বিরুদ্ধে যে সব মামলা রজু আছে সেগুলো ফের একবার খতিয়ে দেখারও দাবী জানালেন। উল্লেখ্য,গত সোমবার লোকসভায় সবার মতামত নিয়েই একটি কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে, যেখানে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে দলিত নিগ্রহে অভিযুক্তদের জামিন মিলবে না এবং এক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলায় রজু করার পরই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আপনার মতামত জানান -