লক্ষ্য লোকসভা ভোট – ১৫ ই আগস্টের পরেই কার্যত মন্ত্রীত্ত্ব ভুলে ভোটের ময়দানে হেভিওয়েটরা জাতীয় July 2, 2018 দেশের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে লোকসভায় বাদল অধিবেশনের পরেই লালকেল্লায় নরেন্দ্র মোদীর তাঁর কার্যকালের শেষ বক্তৃতা দিতে চলেছেন। হয়ত সেটাই লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর শেষ বক্তৃতা। তারপরেই নির্বাচনী প্রচারকার্যে নেমে পড়বেন । বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা তথৈবচ। কে কোন দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন তা বোঝা দায়। অর্থ দফতরের দায়িত্বে থাকা পীযূষ গয়াল নিজের মন্ত্রীত্ব পদ সামলাচ্ছেন না। পরিবর্তে অরুণ জেটলি মন্ত্রক ছাড়াই মন্ত্রকের বৈঠক করছেন। সোস্যাল মিডিয়াতেও ব্লগ লিখছেন। রেল দফতরের অধিকর্তারা তাদের যাবতীয় রিপোর্ট জানাচ্ছেন প্রাক্তন সুরেশ প্রভুকে। স্বাস্থ্যচর্চায় ব্যস্ত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বাদল অধিবেশনের পরে বিভিন্ন মন্ত্রীকে নির্বাচনের দায়িত্বভার গ্রহণের জন্যে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও দলের সোস্যাল মিডিয়ার কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বিরোধীদের নির্বাচনী প্রস্তুতির বহরে বিজেপির বেশির ভাগ আসনই আর নিরাপদ নয়। বিজেপি দলের অধিকাংশ সাংসদ যাঁদের মধ্যে অনেক মন্ত্রীও রয়েছেন তাঁদের আসন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন আর দেওয়া যাবেনা। সম্প্রতি সুরজকুণ্ডে বিজেপি-আরএসএসের বৈঠকে উঠে এসেছে এই তথ্য। কিন্তু বিজেপি সরকার হঠাৎ মন্ত্রীদের কাঁধে নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে চাইছে ? এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বললেন, ”নিজের মন্ত্রিসভার উপরেই আর প্রধানমন্ত্রীর কোনও রাশ নেই। পুরো অরাজক অবস্থা চলছে। কোন মন্ত্রীর কী দায়িত্ব, এখনই বোঝা দায়। আর এক বছরও বাকি নেই ভোটের। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট, মোদী সরকারের বিদায় হচ্ছে।” অবশ্য বিজেপি দলেরই এক নেতা এই প্রশ্নের জবাবে বললেন, ”এই নিয়ে বিতর্কের কী আছে? মন্ত্রীরাও তো দলেরই নেতা। যেমন প্রধানমন্ত্রীও দলের সৈনিক। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীও ভোটের সময় দলের নেতা হিসেবেই প্রচার করেন। গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে কংগ্রেস নেতার মর্যাদা দেয় না, মনমোহন সিংহকেও কংগ্রেসই নেতা বলে মানতেন না, তাই তাদের কাছে এই বিষয়টি খটকা লাগতে পারে।” আপনার মতামত জানান -