এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনে লড়াই হবে সমানে সমানে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দলীপের

২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনে লড়াই হবে সমানে সমানে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দলীপের

লোকসভা নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী বাছাই প্রক্রিয়া হলেও আসলে রাজ্যে বিজেপির লড়াইটা হবে তৃণমূলের সঙ্গে। লড়াই চলবে সমানে সমানে। এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে এমনটাই দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরোক্ষভাবে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করেই তিনি জানান, বঙ্গের মাটিতে বিজেপি-ই পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রতিপক্ষ। বাম,কংগ্রেস তথা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট কোনো দিশা নেই। সাংগঠনিক দিক থেকেও মজবুত প্রমাণ করতে পারেনি নিজেদের। এমনটাই দাবীতে জানালেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

যুক্তিতে তুলে ধরেন পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের রাজনীতির প্রসঙ্গ। কীভাবে বিজেপির দলীয় কর্মীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়,ব্যালেট বক্স লুট করা হয় সেসব কথা। তাছাড়া পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনেও বিজেপিকে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ষড়যন্ত্র করে নিজেদের দলে টানছে তৃণমূল।পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মকান্ডই প্রমাণ করে দিয়েছে রাজ্যে বিজেপির উত্থানে চাপের মুখে রয়েছে তাঁরা। তাই বিজেপিই যে এখন শাসকদলের প্রধান প্রতিপক্ষ, এটা প্রমাণিত।

দিলীপ বাবু সাফ কথায় জানালেন, রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে চাইছে না আর। কংগ্রেস নিজেদের সংগঠন পোক্ত করার লোভে তৃণমূলের হাত ধরতে চাইছে। ওদিকে বামেরা ক্ষয়িষ্ণু দশা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এমতাবস্থায় ফের পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। আর বদল আসবে বিজেপি হাত ধরেই এটা তৃণমল বুঝতে পেরেই অন্যায় অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপির কর্মী সদস্যদের উপর।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সংগঠন ভাঙার চেষ্টা করছে,মিথ্যে মামলায় বিজেপিদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে,বাড়ি ঘর ভেঙে দিচ্ছে,এমনকি এসব কাজে পুলিশের মদত নিতেও পিছপা হচ্ছে না শাসকদল। তৃণমূল সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি এদিন তুলে ধরলেন মেদিনীপুরে মোদীজির জনসভায় প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার প্রসঙ্গটিও। জানালেন,প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার পরও যেভাবে সাধারণ মানুষ শৃঙ্খলা বজায় রেখে মোদীজির ভাষণ শুনেছে,তাতে একটা স্পষ্টই বোঝা যায় যে মোদীজির ভাবমূর্তি কতোটা স্বচ্ছ রাজ্যবাসীর কাছে। এই নজিরে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এরজন্য রাজ্যবাসীর প্রশংসাও করেন তিনি। দলীয় কর্মীদের সেভাবেই শৃঙখলাবদ্ধ হয়ে লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পদ্ম নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!