এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লক্ষ্য 2021 এ পুনরায় প্রত্যাবর্তন – দলীয় নেতাদের বড়সড় নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

লক্ষ্য 2021 এ পুনরায় প্রত্যাবর্তন – দলীয় নেতাদের বড়সড় নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূলেরও এখন ঠিক এইরকমই অবস্থা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা এবারের লোকসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি হওয়ার পর ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকে সাধারণ কর্মীদের সাথে নেতাদের ঠিকমত সময় না দেওয়ার মতো ত্রুটি-বিচ্যুতির কারনই উঠে এসেছে। যা নিয়ে অনেক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ককে ধমকও দিয়েছেন খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি বেশকিছু জেলার সংগঠনের ক্ষেত্রে রদবদলও করতে হয়েছে তাকে। তবে জেলার নেতাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই ধমক দিন না কেন, শাসকদলের রাজ্যের প্রধান কার্যালয় তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনে নেতাদের ঠিকমত না পাওয়ায় কর্মীদের অভাব অভিযোগ শোনার মতো যে কেউ নেই তাও বুঝতে পেরেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তাই তো এবার জনশূন্য রাজ্য দপ্তর তৃণমূল ভবনকে সচল রাখতে দলীয় নেতাদের সেখানে নিয়মিত হাজিরার নির্দেশ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বস্তুত, এর আগেও তৃণমূল ভবনে নিয়ম করে বসার ব্যাপারে মন্ত্রীদের দায়িত্ব বন্টন করে দিলেও তা কেউ পালন করেনি। জেলাস্তরের অনেক নিচুতলার কর্মীরা অভাব অভিযোগ জানানোর জন্য তৃণমূল ভবনে এসেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে চলে যেতেন। ফলে সেক্ষেত্রে তাদের অভাব অভিযোগ শোনার মত কেউ ছিল না। যা নিয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দানা বাঁধে। যার প্রভাব কিছুটা হলেও ভোটবাক্সে পড়েছে বলে এখন আঁচ করেছে শাসক দল। আর তাই এবারে সেই তৃণমূল ভবনে প্রতিনিয়ত দলের নেতা মন্ত্রীরা যাতে বসে কর্মীদের কথা শোনেন তার জন্য তালিকা তৈরি করল তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সোমবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মঙ্গলবার সুজিত বসু, বুধবার শুভেন্দু অধিকারী, বৃহস্পতিবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শুক্রবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রবিবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই তৃনমূল ভবনে বসবেন। এছাড়াও প্রত্যেকদিন সকালে রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং ইন্দ্রনীল সেন তৃণমূল ভবনে সময় দেবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে দলের খারাপ ফলাফলের পর পর্যালোচনা বৈঠক শেষে আজ থেকে তৃণমূল ভবনে প্রতিটি জেলাকে নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানা গেছে, আজ প্রথম দফায় হুগলির জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে সেই তৃণমূল ভবনে বৈঠক করবেন তিনি। তবে এতদিন পর শাসক দল দলীয় কার্যালয়ে তাদের নেতা, মন্ত্রীদের বসিয়ে কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ করার কথা ভাবলে তা নিয়ে শাসকদলকে পাল্টা খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

বিরোধীদের দাবি, মুখে তৃণমূল ভবনকে সক্রিয় করার কথা বললেও এতদিন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটই ছিল তৃণমূলের প্রধান কার্যালয়। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম তার দলের কর্মীদেরকে দলীয় কার্যালয় অপেক্ষা তার বাড়িমুখী করেছিলেন। তাই দলের ভরাডুবি জন্য যদি প্রথম কেউ দায়ী হয়ে থাকেন তাহলে তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি সমালোচক মহলের। সব মিলিয়ে এবার নেতা-মন্ত্রীদের বেশি করে জনসংযোগ করবার জন্য দলের রাজ্য দপ্তরকে সক্রিয় করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ট্র্যাটেজি আদৌ কাজে দেয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!