এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার আগে বড়সড় চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে, সংগঠনে বড়সড় খামতি, উড়তে পারে ঘুম?

বিধানসভার আগে বড়সড় চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে, সংগঠনে বড়সড় খামতি, উড়তে পারে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিরোধী দল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অঙ্গনে ক্রমশ উঠে আসছে বিজেপির নাম। গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে ১৮ টি আসন দখল করে রাজ্যকে গেরুয়া রঙে রঞ্জিত করেছিল বিজেপি। পরবর্তী বিধানসভা ভোটে গেরুয়াময় হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ এমন দাবি ও করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখল করতে হলে বিজেপি কে আরো অনেকটা পথ এগোতে হবে, করতে হবে আরো অনেক অসাধ্য সাধন এমন চিত্রই উঠে এলো বিজেপির সাম্প্রতিক বৈঠকে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নিজেদের দল ও সংগঠনকে মজবুত করতে, রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বর্তমনে দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা, প্রাপ্ত ভোট সমস্ত বিষয়কে সামনে রেখে বিস্তারিতভাবে আলোচনা, পর্যালোচনা চলে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৭ দিনের লাগাতার বৈঠকে। এই বৈঠকে বিজেপির রাজ্যনেতাদের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেননের মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারাও। এই আলোচনায় বিজেপির বুথ ভিত্তিক সংগঠনের ছবিও উঠে এসেছে। আর সেখানেই উঠে এসেছে এক মারাত্মক তথ্য।

দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের মোট ৬৫ % বুথে বিজেপির সংগঠন বেশ শক্তিশালী। এসব স্থানে বিজেপির বুথ কমিটিও তৈরী হয়ে আছে। কিন্তু রাজ্যের বাকি ৩৫ % বুথে বিজেপির অবস্থা একদম ভালো নয়। এই বুথগুলিতে বিজেপির দলীয় সংগঠন খুব দুর্বল, বুথ কমিটিও তৈরী করা সম্ভব হয়নি এই স্থানগুলিতে। এই স্থানগুলি প্রধানত মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, বহরমপুর, মালদহ দক্ষিণ ইত্যাদি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি গত লোকসভা ভোটে সাফল্য পায় নি। এই স্থানগুলি সাধারণত সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই স্থানগুলিতে বিজেপির সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল। শাসকদল পরাস্ত করার মতো জোর এই স্থানগুলিতে বিজেপির নেই বললেই চলে। আর এটাই চিন্তায় রেখেছে রাজ্য বিজেপিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও নিজেদের এই দুর্বলতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতেই বুথ কমিটি করার ক্ষেত্রে একটু দুর্বলতা রয়েছে।” তবে রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, রাজ্যের মোট ৯০% বুথেই কমিটি গঠন করতে পারবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩৬ টি এমন ব্লক আছে যেগুলি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। এই ব্লকগুলিতে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে হলে আগে সংখ্যালঘুদের কাছে বিজেপি ভীতি দূর করা দরকার বলে মনে করেন বিজেপির একাংশ।

কারণ, এখনো পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের কাছে নিজের গ্রহণ যোগ্যতা বিজেপি তেমন একটা বাড়াতে পারেনি। সংখ্যালঘুদের বিজেপির দিকে আকৃষ্ট করতে বিজেপির বিভিন্ন সংখ্যালঘু মুখকে সামনে তুলে আনা ও তাদেরকে রাজ্য বিজেপি দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত করারও নিদান দিয়েছেন অনেকে। এছাড়াও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণার্থে নেওয়া কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলিকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় আরও আরও প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার সবসময়েই সংখ্যালঘুদের কল্যানে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ও করছে। যেমন সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্যে পলিটেকনিক কলেজ, হোস্টেল নির্মান, তাদের জন্য ছাত্রবৃত্তির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সংখ্যালঘু মানুষদের মধ্যে সর্বদা বিজেপি ভীতি ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করে থাকে , এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন তিনি রাজ্যের শাসকদলের প্রতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!