এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সামনেই ২০২১, শুদ্ধিকরণের পথে দল, বহিস্কৃত করা হলো তিন নেতাকে, বিজেপিরর অন্দরে অস্বস্তি !

সামনেই ২০২১, শুদ্ধিকরণের পথে দল, বহিস্কৃত করা হলো তিন নেতাকে, বিজেপিরর অন্দরে অস্বস্তি !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবার বিজেপি থেকে বহিস্কৃত হলেন বসিরহাটের তিন বিজেপি নেতা। জানা গেছে, দলীয় সভায় হামলা চালানোর অভিযোগে বহিষ্কার করা হল বিজেপির তিন নেতাকে। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির অন্তর্কোন্দল সামনে আসতে শুরু করেছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করছে গেরুয়া শিবির। কেননা এখন তৃণমূলের উপর চাপ না বাড়িয়ে যদি নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামলাতে হয়, তাহলে তা বিজেপির কাছে অত্যন্ত চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আর এবার দলীয় সভায় হামলা চালানোর অভিযোগে তিন বিজেপি নেতাকে বহিষ্কার করা হল। যার ফলে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, বিজেপি এবার দলীয় শৃঙ্খলার দিকে সবথেকে বেশি নজর দিতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বসিরহাট টাউন হলের পাশে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা পর্যবেক্ষক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। যেখানে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তারক ঘোষ। আর সেখানেই তিন বিজেপি নেতাকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন বিশ্বপ্রিয়বাবু।

তিনি বলেন, “গত মাসের 27 তারিখ দলীয় সভায় ঢুকে ভাঙচুর ও শৃঙ্খলা আচরণ করেন দলের তিনজন। দলের বিরুদ্ধাচরণ বরদাস্ত করা হবে না। তাই রাজ্য সভাপতির আদেশ অনুসারে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দুলাল রায়, যুব মোর্চার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার এবং পৌর মন্ডল 1 সহ সভাপতি বিশ্বনাথ রক্ষিতকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, এখন থেকে যদি এই তিন ব্যক্তির মধ্যে কেউ দলের পতাকা ধরেন বা দলের কোনো কর্মসূচিতে যোগদান করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। অনেকে বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বিজেপি দলের শৃংখলার ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করল। কেননা বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় পুরনো বনাম নতুন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। তাই যাতে তা দীর্ঘায়িত না হয়, তার জন্যই দলীয় শৃঙ্খলার বিরুদ্ধাচরণ করা নেতাদের শাস্তি দিয়ে অন্যদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল গেরুয়া শিবির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু দল থেকে বহিষ্কারের পর তারা কি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বহিস্কৃত বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার বলেন, “দল বহিষ্কার করলেও মন থেকে বিজেপিতে আছি এবং থাকব। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি আমাদের বহিষ্কার করলেন। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে কেন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হল, তার তদন্ত করলেন না! দলের মধ্যে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের তো আগে বহিষ্কার করা উচিত। যেই আমাদের বহিষ্কার করুক, আমরা কোনোভাবেই দল ছাড়ব না।”

bjp, three leaderঅর্থাৎ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের বহিষ্কার করলেও, তারা যে দল ছাড়বেন না, তা কার্যত পরিষ্কার করে দিলেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। কিন্তু এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরে যে শোরগোল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!