এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ২০২১ এর নির্বাচনের আগে শিক্ষক সংগঠনকেও কাজে লাগানোর ভাবনায়, নয়া পদক্ষেপ তৃণমূলের

২০২১ এর নির্বাচনের আগে শিক্ষক সংগঠনকেও কাজে লাগানোর ভাবনায়, নয়া পদক্ষেপ তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনটি শাসকদল তৃণমূলের কাছে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ ভেতরে-বাইরে উভয় দিক থেকেই লড়াই করতে হচ্ছে শাসকদল তৃণমূলকে। বাইরে থেকে প্রবল আঘাত করছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূলে একের পর এক বাড়ছে দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের সংখ্যা। একারণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এবারে শিক্ষক সংগঠনকেও দলের প্রচারের কাজে নামাবার পরিকল্পনা নিল শাসকদল তৃণমূল। যে কাজ এবার শুরু হলো উত্তর দিনাজপুর জেলায়।

উত্তর দিনাজপুর জেলায়, জেলার সমস্ত বুথেই এক জন করে শিক্ষক সভাপতি নিয়োগ করছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। তবে সূত্রের খবর, জেলার সমস্ত বুথে শিক্ষকদের কমিটি তৈরি করা হচ্ছে না। আবার ইতিপূর্বে এই জেলায় সার্কেল স্তর পর্যন্ত তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের কমিটি ছিল, তবে এরকম একেবারে বুথ স্তরে শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধি ইতিপূর্বে দেখা যায়নি।

তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে এর মধ্যেই একজন করে শিক্ষক সভাপতি নিয়োগ করা হয়ে গেছে। তবে ইসলামপুরের ক্ষেত্রে এখনো তা করা হয়নি। তবে, সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি এই শহরেও এমনটি হতে চলেছে। তবে, সমগ্র জেলার বেশকিছু বুথে এখনো পর্যন্ত শিক্ষক সভাপতি নিয়োগ করা হয়নি। চলছে দ্রুত যে কাজটি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জেলা তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের দাবি, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে স্থানীয় শিক্ষকদের পক্ষে তা হবে ব্যাপক ক্ষতির বিষয়। জীবিকা সংকটে পড়বেন শিক্ষকেরা। সময়মতো তাঁরা বেতন পাবেন না, কোথাওবা তাঁরা অর্ধেক বেতন পাবেন। এছাড়া সরকারি বিদ্যালয়গুলির বেসরকারিকরণ করা হবে। শিক্ষকদের স্বেচ্ছাবসর গ্রহণে বাধ্য করা হবে। এছাড়াও সংগঠনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শিক্ষা নীতি অনুযায়ী আইসিডিএস, এসএসকে, এমএসকেও বন্ধ করে দিতে পারে বিজেপি সরকার।

এভাবে শিক্ষকদের নামানো হচ্ছে দলের প্রচার কার্যে। এ সম্পর্কে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চৌহান জানালেন যে, বিধানসভা নির্বাচন সামনেই এগিয়ে এসেছে। তিনি দাবি করেছেন যে, বিজেপি কোনভাবেই ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। তাঁরা এই জেলার সমস্ত গ্রাম ও পুরসভা এলাকার একেবারে বুথ স্তর পর্যন্ত তাদের সংগঠনের প্রতিনিধি দিচ্ছেন। যাতে তাদের সংগঠন একদম তৃণমূল থেকে কাজ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ড গুলি সাধারন মানুষকে জানাবেন তাঁরা। জেলার প্রায় ৬০ % বুথে এর মধ্যেই প্রতিনিধি দেয়া হয়েছে বলে জানালেন তিনি। তিনি আরো জানান যে, যে সমস্ত এলাকায় শিক্ষকদের বসবাস নেই, সেখানে প্যারা টিচারদের বা এসএসকে’র কর্মীদের এই দায়িত্ব দেয়া হবে।

তবে, এ প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, তার উত্তরে তিনি জানালেন যে, শিক্ষক সংগঠনের এই উদ্যোগের বিষয়টির তিনি কিছুই জানেন না। তবে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের এই উদ্যোগকে নিয়ে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা কমিটির সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন জানালেন যে, তৃণমূল শিক্ষকদের দলের ক্যাডার বানিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল শিক্ষকদের নাকি সমস্ত বুথে প্রচারের দায়িত্ব দিচ্ছে? তিনি কটাক্ষ করেছেন, তৃণমূলের কর্মীদের সাধারণ মানুষ আর বিশ্বাস করছেন না। এ কারণে শিক্ষকদের মাঠে নামাতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল। তবে তিনি জানিয়েছেন যে, এভাবে শিক্ষকদের দিয়ে ভোট করাতে চাইলেও এতে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচনে বিজেপিকে আটকে রাখা যাবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!