এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের মহাযুদ্ধে মমতার ঘুম কেড়ে নিতে সংঘের পরামর্শে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষেরা?

একুশের মহাযুদ্ধে মমতার ঘুম কেড়ে নিতে সংঘের পরামর্শে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষেরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সোচ্চার হওয়াটা অনেকটাই সুবিধা হয়ে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। প্রথম থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল যে, রাজ্য সরকার লকডাউন আইন ঠিকমতো মানছে না। শুধু তাই নয়, করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুসংখ্যা লুকোনো হচ্ছে বলেও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল গেরুয়া শিবির।

এমন পরিস্থিতিতে যখন একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্যোগে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। আর ঠিক তখনই তৃণমূল সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপিকে পরামর্শ দিল সংঘ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ি জেলার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল দশটা থেকে আলিপুরদুয়ার, দুপুর একটা থেকে কোচবিহার, বিকেলে জলপাইগুড়ি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে শিলিগুড়ি নিয়ে আলোচনা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ সহ অন্যান্যরা। আর সেই বৈঠকেই কিভাবে আগামী দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, তা জানিয়ে দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সংঘের তরফে বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রধান ইস্যু হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা। অর্থাৎ যেভাবে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত ব্যর্থ” এই দাবি তুলে ধরে এবার বিজেপি নেতৃত্বকে ময়দানে নামার কথা বলে দিল সংঘ পরিবার। এছাড়াও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ সহ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হতে বলা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির বাংলার নেতৃত্বদের। কিন্তু ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “পুরোটাই ভোটমুখী আলোচনা হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিজেপি চাইছে 2021 এর আগে এমন কোন কিছু তাদের হাতে আসুক যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা তৃণমূলকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তবে বর্তমানে যখন করোনা মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংকটের কথা তুলে ধরে যে তারা তৃণমূলকে সবথেকে বেশি অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে, তা বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়ে দিল সংঘ পরিবার। এখন বঙ্গ বিজেপি এই ব্যাপারে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে কতটা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তাতে তাদের কতটা সাফল্য আসে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!