এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের আগে পিকের মাস্টারস্ট্রোক? বিজেপিকে কোণঠাসা করতে সুকৌশলে সিপিএমের ভাবমূর্তি বাড়াচ্ছেন?

একুশের আগে পিকের মাস্টারস্ট্রোক? বিজেপিকে কোণঠাসা করতে সুকৌশলে সিপিএমের ভাবমূর্তি বাড়াচ্ছেন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে সিপিএম বিদায় নেওয়ার পর বিরোধী দল হিসেবে তাদের মর্যাদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের অস্তিত্ব একদম সংকটের মুখে পড়ে গিয়েছে। যার প্রধান কারণ রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির উত্থান। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির 18 টি আসন পাওয়ার পেছনে অনেকাংশেই সিপিএমের অবদান রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বিভিন্ন জায়গায় সিপিএমের একটি পাকাপোক্ত ভোটব্যাঙ্ক চলে গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে। যার ফলে অনেক আসনে তৃণমূলের ভোট বাড়লেও, সিপিএমের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার কারণে শাসক দলকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে। যার পরবর্তী সময় কালে বারবার বিভিন্ন সভামঞ্চ হোক বা বিধানসভা পক্ষ, সিপিএমের নেতাদের উদ্দেশ্যে নিজেদের ভোটব্যাংক ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অর্থাৎ সিপিএম যদি নিজের ভোট নিজের দিকে ধরে রাখে, তাহলে বিজেপি যে ভালো ফল করতে পারবে না, তা ভালই বুঝেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তাই সিপিএম ও কংগ্রেসকে নিজেদের ভোট যাতে ধরে রাখা যায়, তার জন্য আবেদন করতেও দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে যদি বিগত লোকসভা নির্বাচনের মত বিজেপির দিকে আবারও সিপিএমের ভোট চলে যায়, তাহলে ব্যাপক চাপে পড়তে হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই তার আগে এখন তৃণমূল নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর ও তার টিম এখন বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে, সিপিএমের নানা জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রশান্ত কিশোরের ফোন যাচ্ছে। যেখানে সেই সমস্ত বিরোধীদলের নেতাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তৃণমূলে স্বচ্ছতা নেই। তাই তাদের স্বচ্ছ নেতাদের দলে টানার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তবে সিপিএমের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তৃণমূলকে যতই আক্রমণ করা হোক না কেন, প্রশান্ত কিশোরের এই উদ্যোগের পেছনে সূক্ষ্ম রাজনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কেননা 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যদি আবার গত লোকসভা সিপিএমের ভোট বিজেপির দিকে চলে যায়, তাহলে তৃণমূলের অনেকটাই অসুবিধে হতে পারে। আর তাই সেই অসুবিধের কথাটা আঁচ করে প্রশান্ত কিশোর এখন সিপিএম নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলার মানুষের কাছে সিপিএমের ভাবমূর্তি ভালো দেখানোর চেষ্টা করছেন। অর্থাৎ তিনি একদিকে যেমন বিরোধী দল ভাঙানোর চেষ্টা করছেন, ঠিক তেমনই সিপিএমের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে “তাদের দলে অনেক স্বচ্ছ নেতা রয়েছে” এই খবর খাইয়ে দিয়ে বাংলার মানুষের মনে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে, বিজেপির থেকে সিপিএম অনেকটাই ভালো।

কেননা প্রশান্ত কিশোর যদি এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে সেই ভাবনা বাংলার মানুষের মনের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে মানুষের মনে সিপিএম সম্পর্কে কিছুটা হলেও ভালো বার্তা যেতে শুরু করবে। যার ফলে বিজেপির হাওয়া রাজ্যে অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। আর তাই সিপিএম নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে দিয়ে প্রশান্ত কিশোর বিজেপির হাওয়াকে কিছুটা ফিকে করে সিপিএমকে বিরোধীদলের জায়গায় আনার চেষ্টা করছেন বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এখন প্রশান্ত কিশোরের এই সূক্ষ্ম পরিকল্পনা কতটা সফলতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!