এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ২০২১-এ পার্থক্য গড়ে দেবেন এরাই, ভোটব্যাঙ্ক কাছে টানতে ঝাঁপাতে চলেছে সব পক্ষই

২০২১-এ পার্থক্য গড়ে দেবেন এরাই, ভোটব্যাঙ্ক কাছে টানতে ঝাঁপাতে চলেছে সব পক্ষই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার পরই রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর এই শ্রমিকদের মন পেতে এখন তৎপর শাসক থেকে বিরোধী। সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকেই একটি বিশেষ অ্যাপ নিয়ে মালদায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদহ জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের বাড়ির প্রত্যাশা কি, তা জানতে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন বিজেপির দলীয় কর্মীরা। আর সেই মতই বিজেপির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার অ্যাপের সাহায্যে সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ বিজেপির এই উদ্যোগ থেকে পরিষ্কার যে, আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তারা এখন থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দিনে তাদের পাশে থেকে তাদের বন্ধু হওয়ার বার্তা দিচ্ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল বলেন, “মালদহ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন‌। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে তারা যখন বাড়ি ফিরে আসছেন, তখন তাদের সমস্যা নিয়ে আদৌ শাসকদলের কোনো হেলদোল নেই। তাই আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে তাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য ও প্রত্যাশা নথিবদ্ধ করে আমরা কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপির পাশাপাশি সিপিএমের পক্ষ থেকেও জেলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বঞ্চিত বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাস্তায় নেমেছে বাম শিবির। জানা গেছে, মঙ্গলবার মানিকচকের নাজিরপুরের বাড়ি ফিরে আসা হাজার জন পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে মাত্র 310 জন রেশন পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে সিপিএমের পক্ষ থেকে। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “আমরাই নিরলসভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা না করলে আগামী দিনে এই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।”

একইভাবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, “আমরা লকডাউন শুরুর সময় থেকে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য ও মাথা গোজার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছি।” তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন তাকে ভোটের রাজনীতি বলেই করছে তৃনমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “বিরোধীদের আচরণে বোঝাই যাচ্ছে না, পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা মানবিক ইস্যু নাকি রাজনৈতিক ইস্যু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে তৎপর হয়েছিলেন। মালদহে শ্রমিকরা ফেরার পরে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের খরচে তাদের খাবার অন্যান্য সাহায্য করেছেন। প্রতিটি ব্লকের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ করতে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল এখন চেষ্টা করছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থেকে নিজেদের ভোটব্যাংকে শক্ত করার। যার প্রতিফলন মালদহ জেলায় দেখা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটবাক্সে পরিশ্রমীদের সমর্থন কাদের দিকে যায়, তা আগামী দিনেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!