এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ২০২১ সালের জুন, জুলাই মাসের মধ্যে করোনার টিকা পেতে চলেছেন ৩০ কোটি ভারতবাসী, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

২০২১ সালের জুন, জুলাই মাসের মধ্যে করোনার টিকা পেতে চলেছেন ৩০ কোটি ভারতবাসী, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন যে, আগামী বছরের জুন-জুলাই মাসের মধ্যে ৩০ কোটি ভারতবাসীকে দেয়া হবে করোনার টিকা। বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মিলিত ভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে মন প্রাণ দিয়ে সচেষ্ট আছেন। প্রসঙ্গত গতকাল শনিবার ছিল ২২ তম মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক। এই বৈঠকে করোনার ভ্যাকসিন ও টিকাকরন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন যে, দেশের বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জিনোম সিকোয়েন্সিং ও করোনা ভাইরাসকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ করছেন। আগামী ৬, ৭ মাসের মধ্যে ৩০ কোটি দেশবাসীকে করোনার টিকা দেওয়া যাবে বলে জানালেন তিনি।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন যে, সম্প্রতি দেশের ১ কোটির বেশি মানুষ করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। তবে, তাঁদের মধ্যে ৯৫.৫ লক্ষ মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে অন্যতম হলো ভারত।

এ দেশে করোনার সুস্থতার হার ৯৫.৪৬% বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন যে, তিনি সকলকে ধন্যবাদ দিতে চান। বিশেষ করে তিনি ধন্যবাদ দিতে চান প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ, করোনা সংক্রমণের মতো অবস্থাতেও গত এক বছর ধরে অনুকরণীয় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সমস্ত কিছু তিনি লক্ষ রেখেছেন, খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে সমস্ত কিছুর পর্যবেক্ষণ করেছেন। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যখন ভ্যাকসিন তৈরির পর্যায়ে আছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নিজে দেশের সমস্ত গবেষণাকেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানালেন যে, সম্প্রতি দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি অতিক্রম করলেও, অক্টোবর-নভেম্বরের উৎসবের মরসুম চলে গেলেও নতুন করে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের ঢেউ আর আসেনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে আবেদন জানিয়েছেন যে, সকলে যেন করোনা বিধি মেনে চলেন। এর সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার কথা জানালেন তিনি। আবার, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও মৃত্যুহার হ্রাস করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ করোনা বিধি মেনে চলার কথা জানালেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন যে, করোনার টিকাকরুন শুরু হলেও, মানুষ যেন কোনোভাবেই অসচেতন হয়ে না পড়ে। করোনার সর্তকতা সকলকে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার করোনার সংক্রমণ রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধীদল অভিযোগ করেছে। তবে এনসিডিসি-র অধিকর্তা সুরজিৎ কুমার সিংহ এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেখিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তথ্য ও পরিসংখ্যান মূলক সরকারি নীতির দ্বারা করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এসেছে।

আবার নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কমিটির প্রধান ভি কে পল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে টিকাকরণের বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পর্ব, তার আগের ধাপ, ৬ করোনা টিকার স্বেচ্ছাসেবকদের বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে করোনা টিকার আবেদন করা হয়েছে ১২ টি দেশের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!