এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 2021 এর টিকিট প্রায় নিশ্চিত! ইঙ্গিত মিলতেই নয়া পদক্ষেপ এই তৃণমূল বিধায়কের , জেনে নিন

2021 এর টিকিট প্রায় নিশ্চিত! ইঙ্গিত মিলতেই নয়া পদক্ষেপ এই তৃণমূল বিধায়কের , জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বছর ঘুরতেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় যে যথেষ্ট সচেতনতা থাকবে, তা বলাই যায়। কেননা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রার্থী করে তৃণমূল যে এবার আর কোনো রিস্ক নেবে না, তা কার্যত পরিষ্কার। সেদিক থেকে অনেক বর্তমান বিধায়ক 2021 এ প্রার্থী হবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলের অন্দরেই।

তবে কারা কারা প্রার্থী হবেন, তা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে। আর সেই আন্দাজের ভিত্তিতেই দেখা যাচ্ছে যে, যে সমস্ত বিধানসভায় যারা যারা প্রার্থী হবেন, তাদেরকেই দল বিভিন্ন কর্মসূচির দায়িত্ব দিচ্ছে। এতদিন দুবরাজপুরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ি বিধায়ক হওয়ার ব্যাপারে সংশয় ছিলেন। এতদিন তার নিজের কোনো স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। তবে এবার অবশেষে নিজের বিধানসভায় এলাকার দুবরাজপুরে বাড়িভাড়া খুঁজতে শুরু করেছেন তিনি।

জানা গেছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে নতুন বাড়ি খুঁজছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। আর তার এই উদ্যোগের পেছনে আগামী 2021 সালে তার টিকিট পাওয়ার একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে একাংশ। যেখানে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের শেষ কথা বলেন এবং তার কথা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বীরভূম জেলাকে দেখেন, সেই অনুব্রতবাবু যদি নরেশচন্দ্র বাউড়িকে এরকম নির্দেশ দেন, তাহলে তিনি যে টিকিট পাচ্ছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তাই দলের তরফে সবুজ সংকেত পেয়ে এবার রীতিমত বাড়িভাড়া খুঁজে ঘাঁটি গাড়তে চলেছেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই এই তৃণমূল বিধায়ককে দেখা যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়েও দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকেননি তিনি। কিন্তু এবার 2021 সালে তিনি আবার টিকিট পাবেন, এটা ভেবে ময়দানে নেমে পড়েছেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিধায়কের এলাকায় এসে এই তৎপরতা নিয়ে ইতিমধ্যেই তাদের কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “মরনকালে হরিনাম বলে একটা কথা আছে। শাসক দলে এখন সেই হাল। মানুষের সঙ্গে থাকার প্রয়োজন নেই। শুধু নিজের আখের গুছিয়ে নাও। তৃণমূলের এই ফন্দী মানুষ ধরে ফেলেছেন। মানুষই এর জবাব দেবেন।”

একইভাবে এই ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাসদা বলেন, “ঘর ভাঙছে, মানুষ সরেছে অনুভব করেই জোরাতালি দেওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দল। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না।” তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য দেওয়া হলেও, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, “নরেশবাবু বিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয়। এলাকার রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও মানুষের সমস্যায় হাজির থাকেন। বাম আমলে বিধায়ক কি, সেটাই তো কেউ জানত না। এখন বর্ষায় যাতায়াতের অসুবিধার জন্যই ওনাকে দুবরাজপুরে বাড়ি ভাড়া নিতে হয়েছে।”

তবে এতদিন বর্ষা হলেও, কেন বিগত চার বছর ধরে বিধায়ককে দেখা যায়নি! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। কিন্তু যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ি কি বলছেন? এদিন তিনি বলেন, “আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, দায়িত্ব পালন করতে। নিয়মিত এলাকায় এসেছি। ফাকা প্রতিশ্রুতি কাউকে দিইনি। আমার গ্রামের বাড়ি দুবরাজপুরের হেতমপুরে। সেখানে মাত্র দুটি মাটির বাড়ি। ওখানে সকলকে ডাকা সম্ভব হবে না জেনে দুবরাজপুর শহরে বাড়ি নিচ্ছি।”

তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে স্বয়ং বিধায়ক এই ব্যাপারে যে কথাই বলুন না কেন, হাতে যখন কিছুদিন বাকি নির্বাচনের, তখন তার বিধানসভা কেন্দ্রে এই বাড়ি খোঁজা অন্য রহস্য বলেই দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, আসলে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত পেয়ে এখন মানুষের জনাদেশ পেতে আবার সক্রিয় হতে শুরু করেছেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ি। তবে বিনাশকালে তাঁর এই বুদ্ধি কোনমতেই কাজে দেবে না বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!