এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > একুশের যুদ্ধজয়ের জমি তৈরী করতে আগামী আড়াই মাসে বড়সড় দুই পদক্ষেপ শাসকদলের, জল্পনা বাড়ছে

একুশের যুদ্ধজয়ের জমি তৈরী করতে আগামী আড়াই মাসে বড়সড় দুই পদক্ষেপ শাসকদলের, জল্পনা বাড়ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা, আমফানের মধ্যেও বেজে গিয়েছে ২০২১ নির্বাচনের বাদ্যি। রাজ্যের প্রত্যেক রাজনৈতিক দল শুরু করেছে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার কাজ। প্রতিপক্ষকে পেড়ে ফেলার জন্য আঁকা শুরু হচ্ছে নীল নকশা। শাসক দল তৃণমুল-কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার প্রশান্ত কিশোরের মাস্টার মাইন্ডকে অন্যতম হাতিয়ার রেখে নির্বাচনে যুদ্ধে নামতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। শুরু হয়েছে তারই প্রস্তুতি।

বিধানসভা ভোটের আগে জমি বুঝতে আগামী আড়াই মাসে দলকে সব বুথে ঘোরানোর কর্মসূচি নিল তৃণমূল। করোনা পরিস্থিতিতে সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকলেও এ বার সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু করতে জেলাস্তরে বার্তা পাঠানো শুরু হয়েছে। কোথায় কী অবস্থা হয়ে আছে, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব।

অন্যান্যবারের মতো এবারেও তৃণমূলের মূল মন্তর গ্রামীণ বাংলা। সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং তার ভালো দিক তুলে ধরার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া। ভোটারের সঙ্গে প্রার্থীর সংযোগ ঘটাতেই বুথ স্তরের এই স্ট্র্যাটেজি। তবে সমস্যা অন্য জায়গায়। বুথ স্তরের বহু ক্ষেত্রেই শোনা যাচ্ছে দুর্নীতির কথা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বহু নেতার বিরুদ্ধে। সেখানে প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হবে সে বিষয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে প্রার্থী বদল হতে পারে বহু জায়গায়। সেক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেক বা তারও বেশি কেন্দ্রে প্রার্থী বদলাতে পারে তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের ভোটে বেশ কিছু আসনে নতুন মুখ আনার আলোচনা শুরু হয়েছে আগেই। বয়স ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে কিছু জায়গা চিহ্নিত করার কাজও এই সময়ে চূড়ান্ত করে ফেলতে চান দলীয় নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

করোনা ও অন্যান্য কারণে রাজ্য জুড়ে পুরসভা ভোট বকেয়া রয়েছে। এখনও যে পরিস্থিতি, তাতে ঠিক কবে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের ঝুলে থাকা ভোট করানো সম্ভব হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না শাসক শিবিরের নেতারা। পুরভোট হলে জনমতের একটা আভাস পেত তৃণমূল। এখন আগামী বছরের নির্ধারিত বিধানসভা ভোটের জন্যই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “করোনা ও আমপান-এর দুর্যোগে রাজ্য সরকার পূর্ণ শক্তিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সে কথা বলতে আমরা ফের মানুষের কাছে যাব।”

করোনা এবং আমফান-এর ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তার চেহারাও বুথ-ফেরত রিপোর্টে বুঝতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্বের ধারণা, তৃণমূল সরকারের কাজের বদলে বিধানসভা ভোটের কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে আসবে করোনা ও আমফান-পরবর্তী পরিস্থিতি। স্বীকার করেই তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নামে ছাপানো চিঠি নিয়ে বিজেপির নেতারা বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন। মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হন, তা নিশ্চিত করতে আমাদের বুথে সক্রিয়তা বাড়াতে হবে।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!