প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস বাকি। তারপরেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। তৃতীয়বারের জন্য আবার রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিধানসভা ভোটের দামামা বাজার আগে এবার প্রশাসনিক স্তরে রদবদল করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আধিকারিক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী কাজ শুরু হবে আর জানুয়ারির একদম প্রথমেই সেই পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে তবে এই প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রশাসনিক স্তরে কোনরকম রদবদল করা যায় না আর যদিও বা রদবদল করতে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয় নির্বাচন কমিশনের। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পর থেকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে পর্যন্ত এই রদবদল করা যেতেই পারে।

তবে একদম ভোটের দোরগোড়ায় গিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনো রদবদল করলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এক্ষেত্রে জুলাই এবং আগস্ট মাসেই এই রদবদল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, মহকুমাশাসক বিডিও এবং জেলাস্তরের অনেক শীর্ষ আধিকারিক এই তালিকায় পড়বেন। ফলে নবান্নের শীর্ষ স্তর থেকে জেলাস্তরের কোন কোন প্রশাসনিক পদে রদবদল করা হয়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

একাংশ বলছেন রাজ্য সরকার নিজেদের সুবিধার জন্য নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের পদে রদবদল করতে পারে ইতিমধ্যে সেই ব্যাপারে নানা আধিকারিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সুবিধা এবং রাজনৈতিক গন্ধ পেলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনেকে।

তাদের দাবি, করোনা এবং ভয়াবহ দুর্যোগের পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক স্তরে নানা বদলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই এর সঙ্গে অন্য কিছুর যোগ খোঁজা অর্থহীন। এটা রুটিন বদলি হবে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি অংশ একথা বললেও, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই বিজেপি তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, নিজেদের ভাবমূর্তি ভালো করে মানুষের সামনে নিজেদের উন্নয়নমূলক প্রচারের মাধ্যমে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাই সেই নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল করে নিজেদের সুবিধা করতে পারে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল বলে দাবি সমালোচক মহলের একাংশের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রশাসনিক স্তরে রদবদল করলেও তা কবে হয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এই রদবদল অনুষ্ঠিত হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।