এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশে জুলাই নিয়ে নয়া দ্বন্দ্ব শাসক দলে, গ্রহ কাটছে না, অস্বস্তিতে তৃণমূল

একুশে জুলাই নিয়ে নয়া দ্বন্দ্ব শাসক দলে, গ্রহ কাটছে না, অস্বস্তিতে তৃণমূল


লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এ শ্লোগান তুললেও তা পূর্ণ হয়নি। উল্টে বিজেপি এই রাজ্যে প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। তৃণমূলকে 22 টি আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এদিকে ভোটে কেন এত খারাপ ফলাফল হল; তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই যে এর পেছনে অনেকাংশে দায়ী, তা বুঝতে পেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তাইতো সকলকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নেত্রীর পরামর্শ যে এখনও দলের নেতাদের কাছে পৌঁছয়নি, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। বস্তুত, জুলাই মাস করার সাথে সাথেই তৃণমূলের মেগা শহীদ সমাবেশ নিয়ে প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার সেই প্রস্তুতিপর্বেও খামতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন।

আর তারপরই একুশে জুলাই ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু জেলায় জেলায় সেইভাবে সেই শহীদ সমাবেশের প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে না তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্নও। তবে এবার সেই একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে তৃণমূলের তরফে বৈঠক ডাকা হলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে সেই বৈঠক পুরোপুরিভাবে ভেস্তে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, গত রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ 21 শে জুলাই শহীদ সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে ক্ষীরপাই ব্লক তৃণমূলের সভাপতি চিত্ত পাল একটি বৈঠক ডাকেন। আর সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলেও অনেকে অভিযোগ করেন যে, চিত্ত পালের বিরোধী বলে পরিচিত এই ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় পাত্রকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। আর এতেই তৈরি হয় বিপত্তি।

অভিযোগ, সভার শুরুতেই সেই সুজয় পাত্রের অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন তাদের নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হল না! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন তারা। পরে এই বিক্ষোভের জেরে তৃণমূলের শহীদ সমাবেশের প্রস্তুতি সভা পুরোপুরি ভন্ডুল হয়ে যায়। আর এই ঘটনা নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।

অনেকে বলছেন, যখন দলের এই দুর্দিন, তখন কেন নেতারা তাদের গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে পারছেন না! কেন দলের দুই গোষ্ঠীর নেতার গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য শহীদ দিবসের প্রস্তুতি সভা ভন্ডুল হল! এদিন এই প্রসঙ্গে ক্ষীরপাই ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্ত পাল বলেন, “আসলে সুজয় পাত্রের লোকজনই আমাদের এই কর্মসূচিকে ভন্ডুল করে দিয়েছে। আমি বিস্তারিত ঘটনা দলীয় নেতৃত্বকে লিখিতভাবে জানাব।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে পাল্টা চিত্ত পালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সুজয় পাত্র বলেন, “দলনেত্রী বারবার একসাথে চলার কথা বলেছেন। কিন্তু সেখানে চিত্ত পাল আমাকে বাদ দিয়ে সভা করছে। আমিও তো তৃণমূল দলটা করি।” আর দলের দুই নেতার এই গোষ্ঠী কোন্দল প্রসঙ্গে চন্দ্রকোনার তৃণমূল বিধায়ক ছায়া দোলইকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমি এই ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেব।” সব মিলিয়ে এবার একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ঘিরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!