এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > একুশে পা তৃনমূলের – জাতীয় রাজনীতির অভিমুখ ঘোরাতে এবার অন্য শপথে অন্যভাবে ‘জন্মদিন’ পালন

একুশে পা তৃনমূলের – জাতীয় রাজনীতির অভিমুখ ঘোরাতে এবার অন্য শপথে অন্যভাবে ‘জন্মদিন’ পালন


1, 2 করতে করতে আগামীকাল 2019 র 1 জানুয়ারি 21 বছরে পা দেবে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবারের মতো এবারও সেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা দলের জন্মদিন পালন করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু 21 বছরে তৃণমূলের এই পদার্পণ রাজনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

মূলত, এবারে আগামী 19 জানুয়ারি কেন্দ্রের জনবিরোধী বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে সমস্ত বিরোধীদলকে একত্রিত করে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ঐতিহাসিক জনসভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারও এক অন্য মাত্রা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ক্ষমতা দখলের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের এই দীর্ঘ পথ চলা খুব একটা মসৃণ ছিল না। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কংগ্রেস ভেঙে 1998 সালের 1 জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়েছিল। তারপর বাংলাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করা এই তৃণমূল কংগ্রেস কখনো কেন্দ্রের এনডিএ তো কখনো ইউপিএ সরকারের শরিকও হয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে মন্ত্রিত্ব এবং সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় তাঁরা।

এদিকে বাংলায় তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধেও প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে বলপূর্বক কৃষি জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে 2006 সালে 27 দিন অনশন করেছিলেন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। আর সিঙ্গুরের এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়  নন্দীগ্রাম, কেশিয়াড়ি সহ একগুচ্ছ নামের। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দীর্ঘ আন্দোলনেই পরবর্তীতে বাম সরকারের পতন হয়েছে। ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক প্রকল্প সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। নোট বাতিল থেকে জিএসটি কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তে প্রবল থাকতে দেখা গেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আসন্ন 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে সারা ভারতের সমস্ত বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে একটি মহাজোটও তৈরি করেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী।

আগামী 19 শে জানুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি ঐতিহাসিক জনসভারও ডাক দিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা তো বটেই, দেশের আগামী রাজনীতির প্রেক্ষিতেও এই ব্রিগেড সমাবেশের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সব মিলিয়ে এবারের তৃণমূলের এই 21 বছরে পা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একদিকে রাজ্যের সেই তৃনমূল সরকারের প্রভূত উন্নয়ন আর অন্যদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আন্দোলন, সব মিলিয়ে অভিনব জন্মদিন পালন করবে তৃনমূল কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!