এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ২৪-এর লক্ষ্যে জোট বাঁধতেই কি মমতার রাজ্যে নিজের দূত পাঠালেন সোনিয়া? অধীরের চাপ বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা!

২৪-এর লক্ষ্যে জোট বাঁধতেই কি মমতার রাজ্যে নিজের দূত পাঠালেন সোনিয়া? অধীরের চাপ বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় একটিও প্রতিনিধি পাঠাতে সক্ষম হয়নি কংগ্রেস। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাংলায় কংগ্রেসের জরাজীর্ণ দশা। আর এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কোনো একটি দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেদিক থেকে তিনি একদিকে বাংলার দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। তাই তার চাপ কমানোর জন্য হয় তাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, তা না হলে তাকে লোকসভার নেতা থেকে সরানো হতে পারে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরমহলে।

আর এই পরিস্থিতিতে সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় বাংলায় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসেবে যানি দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন সেই গৌরব গগৈকে আবার বাংলায় পা রাখতে দেখা গেল। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। হঠাৎ করে কেন গৌরববাবু আবার বাংলায় আসলেন? তাহলে কি তাকে আবার বাংলার পর্যবেক্ষক করতে চলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড?

সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে বিধান ভবনে আসতে দেখা যায় এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈকে। অনেকে বলছেন, গৌরববাবুর সঙ্গে কংগ্রেসের বর্তমান বাংলার সভাপতি অধীর চৌধুরীর সম্পর্কে খুব একটা ভালো নয়। আর সেই সম্পর্ক ভালো না থাকার জন্য অধীরবাবু প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর গৌরববাবুকে বাংলার পর্যবেক্ষক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী জিতিন প্রসাদকে। কিন্তু জিতিন প্রসাদ বিজেপিতে যোগদান করার কারণে এবার বাংলার সংগঠনকে আরও বেশি করে মজবুত করতে সেই গৌরব গগৈকে বাংলায় পাঠালো কিনা কংগ্রেস হাইকমান্ড, তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, বাংলায় কংগ্রেসের ব্যাপক ভরাডুবি হওয়ার পরেও অধীরবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না। সেদিক থেকে বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষে মোদী বিরোধিতার প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৌশলগত বার্তা দিতেই কি গৌরব গগৈকে বাংলায় পাঠিয়ে তৃণমূলের প্রতি সুর নরম করার বার্তা দিলেন সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধীরা? এখন এই বিষয়টিও ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

তবে এদিন বাংলায় পা রাখার সাথে সাথেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈকে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধিতায় প্রধান মুখ বলে একটি প্রশ্ন করা হয় তাকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই গৌরব গগৈ বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে তৃণমূলের ফল নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। লোকসভা নির্বাচন 2024 সালে। বাংলার বাইরে তৃণমূলের বিশেষ কিছু করণীয় নেই। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে লড়তে হবে। বিজেপির মোকাবিলা বা বিকল্প কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে হতে পারে না।” অর্থাৎ এক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রতি সুর নরম করে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে যে বিজেপির বিরোধিতা হতে পারে না, সেটাই ঘাসফুল শিবিরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন গৌরব গগৈ।

যার জেরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধীতা করেন। যার ফলে আগামী দিনে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে বহু চেষ্টা করেও বাংলা কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হবে না তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই এই পরিস্থিতিতে একসময় দলের পর্যবেক্ষক থাকা গৌরব গগৈকে আবার বাংলায় পাঠিয়ে নিজেদের সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার ব্যাপারেও সুর নরম করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল কংগ্রেস হাইকমান্ড বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আগামী দিনে পাকাপাকিভাবে বাংলার সংগঠন দেখভালের জন্য গৌরব গগৈ-এর উপরেই ভরসা রাখেন কিনা সোনিয়া গান্ধী, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!