এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুই 24 পরগনা কি ক্রমশ তৃণমূলের হাতের বাইরে? মমতার বড়সড় সিদ্ধান্তের পর জল্পনা চরমে!

দুই 24 পরগনা কি ক্রমশ তৃণমূলের হাতের বাইরে? মমতার বড়সড় সিদ্ধান্তের পর জল্পনা চরমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কলকাতার পার্শ্ববর্তী দুই জেলা উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা প্রতিটা রাজনৈতিক দলের কাছে অন্যতম টার্গেট। কেননা এই দুই জেলায় এত সংখ্যক আসন রয়েছে যে, সেখানে যে দল যত বেশি আসন পাবে, তারাই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হবে বলে দাবি করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

কিন্তু বর্তমানে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় কলকাতা সহ এই দুই জেলায় যখন তান্ডব চালিয়েছে, তখন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। যার পরবর্তীকালে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেছে, এই দুই জেলাতে নিচুতলার জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সেই আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে বারবার।

এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের দিকে। যার ফলে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি বাগে আনতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে শোকজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও অবস্থার উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে না। তাই এমত পরিস্থিতিতে দুই 24 পরগনায় যখন দিনকে দিন দুর্নীতি বাড়ছে, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার ময়দানে নামছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

খবর, উত্তর 24 পরগনায় আগামী 10 জুলাই বেলা সাড়ে 12 টায় রাজারহাটের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে আগামী 13 জুলাই বেলা 12 টায় দক্ষিণ 24 পরগনার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই জেলাকে নিয়ে আরও একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিশেষত এই দুই জেলাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠককে কেন্দ্র করে এখন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

একাংশের মতে, ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা নিয়ে এই দুই জেলায় নিচুতলার জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে দুর্নীতি করেছেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বেড়েছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে যদি এই দুই জেলার সিংহভাগ বিধানসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেস দখল করতে না পারে, তাহলে তাদের পক্ষে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা অনেকটাই অসুবিধা হয়ে পড়বে।

আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করে এই ব্যাপারে কড়া মনোভাব পোষণ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি দুর্নীতিকে যে বরদাস্ত করবেন না, তা এই বৈঠকের মধ্য দিয়েই বার্তা দিতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন চাইছেন, বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে সমস্ত পরিস্থিতি এবং রণকৌশল তৈরি করতে। তাই দুর্নীতিতে দল যাতে বিদ্ধ না হয়, তার কারণেই এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ময়দানে নেমে দুই জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করে মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার বার্তা দেবেন তিনি।

একাংশের মতে, তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “294 টি কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী। তাই তাকে দেখেই সকলে ভোট দিন।” অর্থ্যাৎ তৎকালীন সময়ে নারদার মত ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় তৃণমূলের অনেক নেতার নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসক দল। আর

তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় বলেছিলেন যে, তাকে দেখে যাতে জনতা জনার্দন ভোট দেয়। আর এবার সামনে যখন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, তখন এই দুর্নীতিকে সামাল দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ময়দানে নেমে আবারও নিজের নেতৃত্ব মানুষের সামনে তুলে ধরে তৃণমূলের প্রতি মানুষের বিশ্বাস স্থাপন করার চেষ্টা করলেন বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!