এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে খোয়া গেলো কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা

প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে খোয়া গেলো কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা

প্রতারণা-ঠক্-জোচ্চুরির খবর হামেশাই পাওয়া যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তবে এবার প্রতারকরা ছাড়ছে না কলেজ পড়ুয়াদেরও। সম্প্রতি চুঁচুড়া থানার আওতাধীন ২ নং কাপাসডাঙা থেকে এমনই এক খবর পাওয়া গেলো। প্রতারিত ওই ছাত্রী বর্ষা দেবনাথ ওখানেরই একটা কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী। কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার পরই তাঁর সাথে এমন ঘটনা ঘটে। আসুন জেনে নেওয়া যাক্, কী হয়েছিলো আসলে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন যে, এদিন রাত ১০ টা নাগাধ তাঁর জিও নম্বরে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি নামক সংস্থার একটি মেসেজ ঢোকে। তাতে দাবী করা হয়, ওই কন্যাটি তাঁর হেয়াটসঅ্যাপ নং লটারিতে ৩৫ লক্ষ টাকা জিতেছেন। টাকাটি ট্রান্সফার হয়ে গেছে কেবিসির হেড অফিস থেকে এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে। ওই টাকা পাওয়ার জন্য লটারি ম্যানেজারের নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয় তাকে। ফোন করলে তাকে জানানো হয়, ওই ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া জন্য প্রথমে টাকে তাঁদের বলা একটি অ্যাকাউন্ট নম্বরে ১০,২০০ টাকা জমা করতে হবে। তাঁদের কথা মতো ওই মেয়েটি টাকা জমা করলে পরে তাকে ওই সংস্থা থেকে আবার জানানো হয়, জমা করা টাকাটি কালো টাকা কিনা তাঁর প্রমাণের জন্য লাগবে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র। তার জন্য তাকে অন্য আরেকটা অ্যাকাউন্ট নম্বরে ২৫ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়। ৩৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার লোভে মেয়েটি অতো কিছু না ভেবে তাঁদের বলা টাকা জমা করিয়ে দেয়। এখানেই শেষ হয়। আবারও আসে প্রতারকদের ফোন। আর এবার টাকার অঙ্ক বাড়ে। ৪৫ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয় তাকে। এরপরই সন্দেহ হয় কলেজপড়ুয়া মেয়েটির। এরপরই তাঁর বাবা মৃণালকান্তি  দেবনাথ চুঁচুড়া থানায় এই প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশি জেরায় জানা গেছে, মৃনাল বাবু বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী গাড়িচালক। মেয়ের কথা শুনে ১০ হাজার টাকা তিনি অফিস থেকেই ধার করে তুলে দিয়েছিলেন মেয়ের হাতে। তখনও তাঁর মাথায় আসেনি এমনভাবেও কেউ ঠকাতে পারে। পুলিশ অবিলম্বে গ্রেফতার করবে অভিযুক্তদের,এমনটাই আশা করা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!