এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট পেতে শুরু ত্রিমুখী লড়াই – কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে? কে জিতবেন দিদির ভরসা?

বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট পেতে শুরু ত্রিমুখী লড়াই – কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে? কে জিতবেন দিদির ভরসা?

এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন – আর পারদ চড়তে শুরু করছে বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। এখনো বেশ কিছুদিন দেরি থাকলেও – ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কে কোন আসনে প্রার্থী হতে পারেন? যদিও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২ টির মধ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪ টি আসন জিতেছিল এবং ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪২ এ ৪২ করার আবেদন জানিয়েছেন – তবুও, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, গতবারের বিজয়ী সমস্ত সাংসদ এবারে আবার লোকসভা নির্বাচনে টিকিট নাও পেতে পারেন।

বিশেষ করে, যে সমস্ত সাংসদের পারফরমেন্সে দলনেত্রী খুশি নন বলে প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন – তাঁদের নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে। এরকমই একটি লোকসভা কেন্দ্র – বাঁকুড়া। লালমাটির দেশের এই কেন্দ্র একসময় সিপিআইএমের বাসুদেব আচারিয়ার নামের সঙ্গে সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। পরপর ৯ বার বাসুদেববাবু এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে লোকসভায় যান। কিন্তু, ২০১৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীমতি দেববর্মা ওরফে মুনমুন সেনকে।

মুনমুন সেনের ব্যক্তিগত ক্যারিশমাতেই হোক বা প্রবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়াতে – ইন্দ্রপতন ঘটে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে। প্রায় এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বাসুদেববাবুকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য লোকসভায় যান মুনমুন সেন। কিন্তু পরবর্তীকালে, বাঁকুড়াতে যখন প্রবল বন্যায় সাধারণ মানুষ অসহায়, তখন তিনি জানান – সংসদে গুরুত্ত্বপূর্ন সেশন চলছে, তাই এখন বাঁকুড়া যাওয়া সম্ভব নয়। যা নিয়ে সেই সময় তীব্র বিতর্ক হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। মুনমুনদেবীর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ – সাংসদ হিসাবে তাঁকে সেভাবে এলাকাতে পাওয়ায় যায় না!

আর তাই, রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল জল্পনা – এবারে হয়ত আর তাঁকে টিকিট দেবেন না দলনেত্রী। আর তাই জল্পনা শুরু হয়েছে কে পেতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট। এই পরিস্থিতিতে প্রবলভাবে নাম উঠে আসছে ওই লোকসভারই ছাতনা বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শুভাশিস বটব্যালের। ২০১১ সালে ছাতনা কেন্দ্র থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হলেও, ২০১৬ সালে তিনি কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী আরএসপির ধীরেন্দ্রনাথ লায়েকের কাছে প্রায় ২,৫০০ ভোটে পরাজিত হন। পরবর্তীকালে, অবশ্য ধীরেন্দ্রনাথবাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই, স্বাভাবিকভাবেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ছাতনা কেন্দ্র থেকে শুভাশীষবাবুর পুনরায় টিকিট পাওয়া কঠিন। অন্যদিকে, তারকা-মুখ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ত্বের বেশ অনীহা আছে। কেন, বাঁকুড়া আসনে বরাবরই বিজেপি বেশ শক্তিশালী – ২০১৯ সালে এই আসনটি ‘বেশ সম্ভাবনাময়’ বলে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই আলোচনা চলছে। তাই, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ত্ব কোনরকম ঝুঁকি নিয়ে আর কোন অরাজনৈতিক মুখ সেখানে দাঁড় করতে চান না। আর সেই জায়গা থেকেই প্রবলভাবে উঠে আসছে শুভাশীষবাবুর নাম।

অন্যদিকে, বাঁকুড়া লোকসভার অন্তর্গত বাঁকুড়া সদর আসন থেকে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে গত বিধানসভা নির্বাচনে যেতেন ‘প্রাক্তন’ তৃণমূলী শম্পা দড়িপা। তিনি বাঁকুড়া পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর হলেও কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হওয়ায়, তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়। এরপর শম্পাদেবী ‘চুপিসারে’ শাসকদলে ফিরে যান বলে তীব্র গুঞ্জন – কেননা, তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ নিয়ে আর একটি শব্দও খরচ করে না রাজ্যের শাসকদল!

সূত্রের খবর, শম্পাদেবীর নামও প্রবলভাবে উঠে আসছে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাম্ভাব্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে। আর তাই, বাঁকুড়া লোকসভা আসনে প্রার্থীপদ নিয়ে টানটান উত্তেজনা শাসকদলের অন্দরে। যদিও, এইসব ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসে শেষ কথা বলেন দলনেত্রীই – তাই তিনি যতক্ষন পর্যন্ত না এই নিয়ে সরকারিভাবে মুখ খুলছেন – সবকিছুই জল্পনার স্তরেই থাকবে। সবাই আপাতত তাকিয়ে কালীঘাট থেকে দলনেত্রী কি নির্দেশ দেন সেদিকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!