এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার ৩ লক্ষ গ্রাহকের গ্যাস কানেকশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই মাসেই – জানুন বিস্তারিত

বাংলার ৩ লক্ষ গ্রাহকের গ্যাস কানেকশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই মাসেই – জানুন বিস্তারিত


এবার ভুয়ো গ্যাস সংযোগ রুখতে নয়া উদ্যোগ নিল কেন্দ্র সরকার। পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে দেশের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা অধিকাংশ গ্রাহকরাই এখনো সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে কেওয়াইসি (নো ইওর কাস্টমার) জমা করেননি। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এমন গ্রাহক রয়েছেন তিন লক্ষ। এদেরই আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কেন্দ্র।

যদিও বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দেশ দেওয়া হয়নি,তবুও উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কেওয়াইসি জমা না করলে ওই সব গ্রাহকদের সিলিন্ডার ডেলিভারি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তেল সংস্থা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,সাধারণত বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকার নীচে আয় এমন পরিবারই এখন ভর্তুকিতে রান্নার গ্যাস পায়। কিন্তু অনেকেই ভুয়ো গ্যাস সংযোগ নিয়েছে, তার ফলে ভর্তুকির সুবিধা পাচ্ছে। সেসব ভুয়ো গ্রাহকদের নামে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডার ইস্যু হলে তা বেআইনিভাবে বিক্রির জন্যে চলে যাচ্ছে খোলাবাজারে – ফলে ক্ষতি হচ্ছিল কেন্দ্রের।

এই সমস্যাকে অনেকটাই রোখা গিয়েছে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা পৌছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় – এমনটাই দাবী মোদী সরকারের। কিন্তু সঠিক ব্যক্তির কাছে ভর্তুকি পৌছাচ্ছে কিনা তা জানতেই কেওয়াইসির প্রস্তাব দেয় তেল সংস্থাগুলো। তারপরই ডিলারদের মাধ্যমে কেওয়াইসি জমা দেন গ্রাহকরা। এবার এদের মধ্যে অনেকেই এখনো কেওয়াইসি জমা না দিয়ে গ্যাসের সুবিধা ভোগ করছেন। সেইসব গ্রাহকদেরই কোওয়াইসি জমা করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই কেওয়াইসি জমা না দেওয়া গ্রাহকদের এক কথায় ‘নন ক্যাশ ট্রান্সফার কমপ্লায়েন্স’ কাস্টমার বলেই ধরা হয়। এদের মধ্যে অনেকেই স্বেচ্ছায় ভর্তুকি ছেড়েছেন, অনেকে আবার ভর্তুকির জন্যে আবেদনও করেননি কখনো। গ্রাহক হিসাবে তেল সংস্থার খাতায় নাম থাকলেও, বাস্তবে তাদের অস্তিত্ব নেই, এমন গ্রাহকও কম নেই দেশে। এসব গ্রাহকদের চিহ্নিত করতেই ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্থান পেট্রলিয়াম এবং ভারত গ্যাস থেকে গ্রাহকের ব্যক্তিগত কিছু তথ্য বা কেওয়াইসি চাওয়া হয়েছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।

তবে যেহেতু এ ব্যাপারে লিখিত কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি, তাই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন সাধারণ গ্রাহকরা – এমনটাই বক্তব্য বেশিরভাগ ডিলারদের। তবে তেল সংস্থা কিন্তু আভাস দিয়েই দিয়েছে ওই নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কেওয়াইসি জমা না করলে বন্ধ করে দেওয়া হবে গ্যাস সংযোগ। তবে এ ব্যাপারে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই সাধারণ গ্রাহকদের, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন ইন্ডেন ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশন, ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট এবং অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের অ্যাডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি বিজনবিহারী বিশ্বাস।

তাঁর বক্তব্য, ভর্তুকি পাওয়া কাস্টমাররা কেওয়াইসি জমা দিয়েই পাচ্ছেন। যাঁরা ভর্তুকি পাচ্ছেন না তাদের কেওয়াইসি জমা করার কথা। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কেওয়াইসি সংশ্লিষ্ট ডিলারদের কাছে জমা করলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। বাকি গ্রাহকদের মতো তাঁরাও ভর্তুকি পাবেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেওয়াইসি জমা না করলে গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত নির্দেশ আসেনি কেন্দ্রের তরফ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!