এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা বাড়ছে খোদ মমতার পাড়ায়! গোটা রাজ্যের চিত্রে উড়ছে ঘুম!

এবার লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা বাড়ছে খোদ মমতার পাড়ায়! গোটা রাজ্যের চিত্রে উড়ছে ঘুম!


একলাফে রাজ্যে যে একদিনে এত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ্যে আসবে, তা কেউ কল্পনা করতে পারেননি। 24 ঘন্টা আগে একদিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 183। আর একলাফে বৃহস্পতিবারের সরকারি বুলেটিনে তা দ্বিগুণ হয়ে 344 হয়ে যাওয়ায় রীতিমত আশঙ্কা বাড়ছে। এক্ষেত্রে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের তিনজন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বাধায় মানুষের মনে থাকা আতঙ্ক দ্বিগুণ হয়েছে।

যেভাবে হু হু করে এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে পরিস্থিতি যতই সময় যাচ্ছে, তত হাতের বাইরে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। একদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে আসছেন, আর অন্যদিকে সংক্রমণ বাড়ছে। এই দুইয়ের মধ্যে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। জানা গেছে, এদিনের সরকারি বুলেটিনে কলকাতায় 87, হাওড়ায় 55, উত্তর 24 পরগনায় 49, উত্তর দিনাজপুরে 46, বীরভূমে 27, নদীয়ায় 15 টি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ এসেছে।

আর মোট 17 টি জেলায় একদিনের মধ্যে এত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রত্যেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক আকার নিয়েছে, যখন খবর পাওয়া গেছে যে, খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে তিনজন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন মহিলা এবং একজন পুরুষ। তবে সহজেই এই আক্রান্তদের ধরার পেছনে অন্য উদ্যোগ রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, কলকাতা পৌরসভার কনটেইনমেন্ট জোনে নজরদারির জন্য এসএসকেএম, এনআরএস এবং আরজিকরের কমিউনিটি মেডিসিনের দুজন চিকিৎসক কে নিয়ে মোট তিনটি পর্যবেক্ষক দল গঠন করা হয়েছে। যারা সরাসরি রোগীদের খুঁজে বের করছেন। আর সেরকমই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় এই পর্যবেক্ষক দল। আর সহজে এইভাবে আক্রান্তদের খুঁজে পাওয়ায় অনেকের মনেই আশার আলো দেখা দিতে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সম্পাদক মানুষ গুমটা বলেন, “তিনজন আক্রান্ত হওয়ায় হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে যে তৎপরতার সঙ্গে রোগীর খোজ চলল, সারা রাজ্যে এই তৎপরতা লক্ষ্য করা যাবে বলে আশা করি।” এদিন এই প্রসঙ্গে সার্ভিস ডক্টরসের সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “চিকিৎসকদের দায়িত্ব হচ্ছে নজরদারির কাজে পরিকল্পনা করা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশেপাশে তিনটে কেস পাওয়া গিয়েছে বলে চিকিৎসকদের বাড়ি বাড়ি ঘোরানো হবে কেন?”

তবে যে পদ্ধতিই লাগু হোক না কেন, একদিনে যেভাবে বিপুল পরিমাণ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে প্রকাশ্যে এল এবং যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়াতেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর হদিশ পাওয়া গেল তাতে রীতিমত সংকট ও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে সচেতন থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাই সামাজিক দূরত্বকে অবলম্বন করে পথ চলাই শ্রেয়। কিন্তু এখন এই সব সচেতনতা অবলম্বন করলেও, আদৌ যেভাবে করোনা ভাইরাস হু হু করে বাড়ছে, তা আটকানো যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সকলের মধ্যেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!