তৃণমূল কর্মী খুনে অস্বস্তি তীব্র করে গ্রেপ্তার শাসকদলেরই তিন! তীব্র গুঞ্জন অনুব্রত-গড়ে! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য November 4, 2019 বিভিন্ন জায়গাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির ঘটনা ঘটলেও, প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে দেখা যায় তৃনমূল নেতাদের। কিন্তু এবার তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুনের ঘটনায় তৃণমূলেরই 3 কর্মী গ্রেফতার হওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ল ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে দখলবাটি গ্রামের তৃণমূল কর্মী মোশারফ হোসেন ওরফে বাবুল রামপুরহাট থেকে মোটরবাইক করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ই রামপুরহাট দুনিগ্রাম সড়কের জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম সংলগ্ন মাঠপাড়া এলাকার কালভার্টের কাছে তিন দুষ্কৃতী তার বাইক আটকে তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। আর এরপরই রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে মোশারফের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। এদিকে মোশারফ হোসেনের মৃত্যুর পরেই আশ্চর্যজনকভাবে সেই গ্রামের কামা শেখ নামে এক তৃনমূল কর্মীর নেতৃত্বে এলাকায় প্রবল বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে অনেকেই দাবি করেন যে, মোশারফকে মেরে খুশির জন্যই কিছু দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে মৃত তৃণমূল কর্মী মোশারফের স্ত্রী মনোয়ারা বিবি অভিযুক্ত কামা শেখ সহ 18 জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের স্ত্রী বলেন, “এক বছর ধরে কামার দলবল মোশারফ সহ আমাদের পরিবারের লোকজনদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। সেজন্য আমার স্বামী খুব কম বাইরে বেরোতেন। বেরোলেও অন্য পথ দিয়ে গ্রামে যাতায়াত করতেন। তবুও ওরা ওকে ছাড়ল না।” এদিকে তৃণমূল কর্মী মোশারফ হোসেনের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, রামপুরহাটের দখলবাটি গ্রামের বাসিন্দা ধৃত জাহিরুল ওরফে ছোটু শেখ, মেহেরুল শেখ এবং লাল শেখকে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 10 দিনের পুলিশি হেফাজত দেন। তবে প্রথম থেকে এই ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল চললেও, যেভাবে তিন তৃণমূল কর্মী গ্রেপ্তার হলেন, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকট হয়ে উঠল বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “এই জেলায় যেকোনো ঘটনাতেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। দখলবাটিতে যা হয়েছে, সেটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।” যদিও এই ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মীর গ্রেপ্তারের পরে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে তিন তৃণমূল কর্মীর গ্রেপ্তারে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবিরকে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -