এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটে না দাঁড়াতে পারা, 31 টি পৌরসভার চেয়ারম্যানকে নিয়ে নয়া ভাবনায় মমতা

ভোটে না দাঁড়াতে পারা, 31 টি পৌরসভার চেয়ারম্যানকে নিয়ে নয়া ভাবনায় মমতা


 

পৌরসভা ভোট নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অন্দরেই এতদিন প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু ভোটের আগে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই যেন সেই প্রস্তুতি কিছুটা হলেও থিতিয়ে পড়েছে। কেননা ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকায় সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে দেখা গেছে, রাজ্যের অনেক পৌরসভায় তৃণমূলের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান তাদের নিজের ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে পারছেন না। কেননা সংরক্ষণের ফলে সেই সমস্ত ওয়ার্ড মহিলা এবং অন্যান্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, ওয়ার্ড সংরক্ষণের ফলে রাজ্যের 31 টি পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং মেয়র নিজের আসন হারিয়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে 19 জন ভাইস-চেয়ারম্যান, একজন ডেপুটি মেয়র, 8 জন মেয়র পারিষদ এবং বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্যের ওয়ার্ডও সংরক্ষণ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এখন সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। কেননা এই সংরক্ষণছর ফলে বাতিলের তালিকায় পড়ে গিয়েছেন, আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায়, উত্তরপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, খড়গপুরের চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার, বিষ্ণুপুরের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির গোপাল সাহা, টিটাগরের প্রশান্ত চৌধুরী, নৈহাটির অশোক চট্টোপাধ্যায়, কাঁচরাপাড়ার সুদামা রায়, বনগাঁর শঙ্কর আঢ্য সহ অন্যান্যরা। ফলে এক্ষেত্রে এই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়ে যাওয়ায়, তাদের অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করা হতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা এই সমস্ত ব্যক্তিদের যদি প্রার্থী করা না হয়, তাহলে তাদের মনে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। যা পরবর্তীতে তৃণমূলকে বিপাকে ফেলতে পারে। আর তাই তো অত্যন্ত সন্তর্পনে কাজ করে এই সমস্ত ব্যক্তিদের মনকে সন্তুষ্ট রাখতে তাদের অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে কিছুটা বিপদ রয়েছে। কেননা অন্য ওয়ার্ডে যদি এই সমস্ত ব্যক্তিদের জনপ্রিয়তা না থাকে, তাহলে তারা সেখানে পরাজিত হতে পারেন। তাই সেদিক থেকে সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকটাই চাপে রয়েছে তৃণমূল বলে দাবি করছে একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “চেয়ারম্যানরা হলেন পৌরসভার মুখ। তাকে সামনে রেখেই পৌরসভা এলাকায় নানা ধরনের কাজ হয়েছে। তাদের ওয়ার্ড সংরক্ষিত হলেও, পুর এলাকার সাধারণ ওয়ার্ডেই তারা প্রার্থী হবেন। 10 ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশের পর প্রার্থী তালিকার কাজ শুরু হবে। তখন কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না। সকলকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তবে কে কোথায় প্রার্থী হবেন, তা চেয়ারম্যানের মতামত নিয়ে এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে।” তবে তৃণমূল নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, এখন সংরক্ষণের গেরোয় পরে যাওয়া তৃণমূল নেতাদের ভবিষ্যৎ ঠিক কোন দিকে এগোয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!