এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ৩৫ বছরের পুরোনো নেতাকে ছেঁটে ফেললেন মমতা, পদ হারালেন আরও দুই হেভিওয়েট, তীব্র গুঞ্জন তৃণমূলেই

৩৫ বছরের পুরোনো নেতাকে ছেঁটে ফেললেন মমতা, পদ হারালেন আরও দুই হেভিওয়েট, তীব্র গুঞ্জন তৃণমূলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে দলের কাজ করেও শেষ পর্যন্ত পদ থেকে অপসারিত হলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর স্থলে এলেন তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী পুরসভাতেও প্রাক্তন পুরপ্রধান ও বর্তমানের পুর প্রশাসক সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়কে অপসারিত করা হলো। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হল তপন জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়কে। আবার বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকেও অপসারিত করা হয়েছে।

একাধারে ৩৫ বছর ধরে দলের সেবা করেও কেন পদ থেকে অপসারিত হলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়? এর উত্তরে বলা যায়। বাঁকুড়া জেলার অপসারিত এই পুরপ্রধানদের কাজে খুশি ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া তিনি যখন শেষ বারের মতো জেলা সফর করতে এসেছিলেন, সেসময়ই রবীন্দ্রভবনের প্রশাসনিক বৈঠকের সময় এই তিন পুরপ্রধানকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি। এবার বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া জেলা সফর করতে আসবেন। তাঁর আগেই এই তিনজন পুর প্রধানকে অপসারিত করা হলো পদ থেকে। যে কারণে তীব্র শোরগোল পড়ে গেল, দলের মধ্যে তীব্র গুঞ্জনও শুরু হল।

দীর্ঘসময় বিষ্ণুপুর পুরসভার দায়িত্ব পালনের পর, অকস্মাৎ তাঁর অপসারণ প্রসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন, তা তাঁকে মেনে নিতেই হবে। নতুন প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি স্বাগত জানালেন। তিনি আরও জানালেন যে, দলে তিনি ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তার অপসারণের পেছনে কি শুভেন্দু অধিকারী ফ্যাক্টর কাজ করেছে? তার উত্তরে তিনি জানালেন যে, তিনি দাদার অনুগামী নন, দাদার সঙ্গে তাঁর কোন যোগাযোগ নেই। তিনি শুধুমাত্র দলের অনুগামী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিষ্ণুপুর পুরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, এখনো তিনি দায়িত্ব পাননি। তবে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি জানালেন পুর প্রশাসক মন্ডলীতে গৌতম গোস্বামী, তন্ময় ঘোষ, সুশোভন নন্দী থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর যে আস্থা রয়েছে, তা পূরণের তিনি চেষ্টা করবেন। তিনি আরও জানালেন যে, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে পুরসভা পরিচালনার কাজ করবেন তিনি।

অন্যদিকে সোনামুখী পুরসভা থেকে বর্তমান প্রশাসক সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়কে অপসারিত হলো। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, সরকার তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়েছিল, সরকারই তাঁর দায়িত্ব কেড়ে নিয়েছে। তবে, কি কারণে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত? তা তিনি জানেন না। তবে তিনি জানালেন যে, সরকারি সিদ্ধান্ত তিনি মেনে চলতে বাধ্য। অন্যদিকে পুরসভার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর প্রশাসক তপন জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান বৃদ্ধি করতে পুর পরিষদ দিতে তিনি কাজ করে যাবেন বলে জানালেন।

সূত্রের খবর আগামী ২৪ সে নভেম্বর দু’দিনের সফরে বাঁকুড়া জেলায় আসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন মুকুটমণিপুরে প্রশাসনিক বৈঠকের সম্ভাবনা আছে মুখ্যমন্ত্রীর। তার পরদিন বাঁকুড়া জেলার ১ ব্লকের শুনুকপাহাড়ির হাটের মাঠে এক জনসভায় যোগ দিতে পারেন তিনি। তাঁর সফরের ঠিক আগেই তিন পুর প্রধানকে অপসারণ, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!