প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যে আসতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে। হিংসার ঘটনা থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা, করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে অন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল আসায় রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দুর্যোগ “ইয়াস” বাংলায় পড়ার পরেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সামনে এসেছে। যাকে কেন্দ্র করে দিল্লি থেকে বাংলায় এসেছে সাত সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর সেই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজ বৈঠক করার কথা রয়েছে রাজ্য সরকারের। যে বৈঠককে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরমহলে।

বস্তুত, ভয়াবহ দুর্যোগের পরেই কেন্দ্রের কাছে অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া করতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এমনকি “ইয়াস” নামক দুর্যোগ আছড়ে পড়ার পরেই রাজ্যে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই তার কাছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

400 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বাংলাকে। তবে এই সামান্য অর্থ নিয়ে খুব একটা খুশি নয় রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে আজ দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনের পর নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যে বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে ব্যাপক আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের কাছে চাওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই দুর্যোগে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এমনিতেই করোনা সহ বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকারের প্রচুর অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে সাহায্য করা উচিত বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কেন্দ্র রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচারণ করছে বলে অভিযোগ শোনা গেছে তার গলায়। আর তার মাঝেই ভয়াবহ দুর্যোগ যে সমস্ত জায়গায় হয়েছে, সেই এলাকা পরিদর্শনের পর আজ নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের। স্বাভাবিক ভাবেই এই বৈঠক থেকে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।