এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শৃঙ্খলাই শেষ কথা! বিজেপিতে একযোগে পদ হারালেন ৪০ জন রাজ্য নেতা! জানুন বিস্তারিত

শৃঙ্খলাই শেষ কথা! বিজেপিতে একযোগে পদ হারালেন ৪০ জন রাজ্য নেতা! জানুন বিস্তারিত

বিজেপি নেতৃত্ব সবসময়েই দাবি করে থাকে তাদের দল হল – পার্টি উইথ এ ডিফারেন্স – অর্থাৎ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে স্বতন্ত্র। আর তাই, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব প্রথম থেকেই সংগঠন গড়ার কাজকেই সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। কেননা, গেরুয়া শিবিরের নেতারা মনে করেন, নির্বাচনে হার-জিৎ হতেই পারে। কিন্তু, সংগঠন ঠিক না থাকলে লড়াইয়ের ময়দানে থাকা যাবে না। আর তারফলে, জেতা আসন হেরে যেতে হবে আর হেরে যাওয়া আসনে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে না।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরে গেরুয়া শিবিরের দাবি আরও জোরালো হয়েছে, যে সংগঠন ঠিক আছে বলেই তুমুল বিরোধিতা সত্ত্বেও টানা দ্বিতীয় বার দেশের শাসন কর্তার ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পারা গেছে। আর এই সংগঠন টিকে থাকবে দলীয় শৃঙ্খলার মাধ্যমে। তাই যখনই দলীয় শৃঙ্খলা কিছুমাত্র ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়, তখনই বিজেপি নেতৃত্ব কড়া হাতে তা দমন করেন। এবার আরও একবার বিজেপি নেতৃত্ব দলে বিদ্রোহ দমন করতে কড়া পদক্ষেপ নিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গেরুয়া শিবির সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী সম্প্রতি, উত্তরাখন্ড থেকে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য 40 জন নেতা-নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজেপি থেকে এই 40 জন নেতা নেত্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন – রাজেশ শর্মা, মীরা রাতুরি, মোহন সিং বিস্ত, মহেশ বাগরি, প্রমীলা উনিয়াল এবং ভবন সিং। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই কুনওয়ার প্রণব সিং নামে এক বিধায়ককে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মুখে এবং হাতে অস্ত্র নিয়ে নাচ করার এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

আর তাই কালক্ষেপ না করে, দলের ভাবমূর্তি ও দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেই বিধায়ককে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। আর এবার উত্তরাখন্ড নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী মোদী আইনসভার সদস্যদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন। আর তারপরই উত্তরাখণ্ডের নেতা-নেত্রীদের দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি দল যেভাবে তাদের সংগঠন পরিচালনা করছেন, তা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য এক অন্য মাত্রা স্থির করবে। অন্যদিকে, বহিস্কৃত নেতা নেত্রীরা প্রত্যেকেই তাদের প্রতি তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। দেশজুড়ে বিধানসভা নির্বাচন সামনে। তাই সংগঠনকে আরো কড়া নির্দেশিকার মাধ্যমে মজবুত করতে শুরু করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কি রকম ফল করবে, তার দিকেই এখন নজর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!