এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আশা-আশঙ্কার দোলাচলে আজ রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট, উদগ্রীব সব পক্ষই

আশা-আশঙ্কার দোলাচলে আজ রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট, উদগ্রীব সব পক্ষই


প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় দফার ভোট শেষে আজ চতুর্থ দফার লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের মোট পাঁচটি জেলার আটটি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ববর্তী দফাগুলোতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়ার জন্য তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তবে এবার চতুর্থ দফায় রাজ্যের এই আট আসনের লোকসভা ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আটটি আসনের জন্য ৫৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাহারাদারের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই চতুর্থ দফার ভোটে রাজ্যের যে আটটি আসনে ভোট হচ্ছে সেখানে অধীর চৌধুরী, শতাব্দী রায়, এস এস আহলুওয়ালিয়া, বাবুল সুপ্রিয়, মুনমুন সেনের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর এই আটটি আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৯১ জন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাজ্যে যে আটটি আসনে আজ লোকসভা ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে নজরকাড়া কেন্দ্র হচ্ছে বহরমপুর। যেখানে ১০ জন প্রার্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে করলেও এখানে মূল লড়াই একদা অধীর চৌধুরীর বন্ধু বলে পরিচিত তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকারের সাথে দীর্ঘদিনের বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।

মূলত এই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রটি দখলে রাখবার জন্য এবারে ভোটের প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত এই লোকসভা কেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তাই অপূর্ব সরকারের সাথে অধীর চৌধুরীর লড়াই হলেও মূল লড়াই তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অধীরবাবুর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। ফলে হেভিওয়েট বনাম হেভিওয়েটের এই লড়াইয়ে যাতে কোনো অশান্তি না বাঁধে তার জন্য এই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিচ্ছে কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিগত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি দখল করলেও এবারে বিজেপির কাছ থেকে এই আসন ছিনিয়ে নিতে তৎপর তৃণমূল। এখানে বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী মুনমুন সেন। তবে বাবুল বনাম মুনমুনের মধ্যে মূল লড়াই হলেও এই কেন্দ্রের বাম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ও ময়দানে নেমে পড়েছেন। ফলে কে এখানে শেষ হাসি হাসে তার দিকেও নজর রয়েছে অনেকের।

পাশাপাশি বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনে ৬ জন এবং বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও যাতে এই দুটি আসনে কোনরূপ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ না হয় এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করানো যায় তার জন্য এই দুটি কেন্দ্রের ৯৯ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে বিজেপির কল্যাণ চৌবে এবং রানাঘাটে তৃণমূলের রুপালী বিশ্বারের সঙ্গে বিজেপির জগন্নাথ সরকারের মূল লড়াইয়ে আজ সমস্ত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। জানা গেছে, এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন।

তবে আজকে বাংলায় এই ৮ টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে সকলের পাখির চোখ বীরভূম জেলা। কারণ এখানে বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে দেখা গেছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। ফলে তাঁর গড় বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্র বীরভূম ও বোলপুরে আজ নির্বাচন হওয়ায় সেখানে সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। জানা গেছে, বীরভূম লোকসভা আসনের ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াই হতে চলেছে তৃণমূলের শতাব্দী রায় বনাম বিজেপির দুধকুমার মন্ডলের।

অন্যদিকে বোলপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সঙ্গে লড়াই হতে চলেছে বিজেপির রামপ্রসাদ দাসের। এদিকে এই কেন্দ্রে বামেদের প্রার্থী হয়েছেন এখানকারই প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিরোধীদের তরফ যেই প্রার্থী হোক না কেন বিরোধীদের মূল লড়াই এখানকার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সাথেই। জানা গেছে, বীরভূমে ৯৯ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে আজ বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচন হওয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী যতই মোতায়েন থাকুক না কেন – আশা এবং আশঙ্কাতেই দিন কাটতে চলেছে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!