এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের তৃণমূলের ৫ হেভিওয়েট নেতাকে শো-কজ,উত্তর না দিতে পারলে কঠিন শাস্তি ! জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে!

ফের তৃণমূলের ৫ হেভিওয়েট নেতাকে শো-কজ,উত্তর না দিতে পারলে কঠিন শাস্তি ! জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিপূরণের টাকা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের একাউন্টে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে সাধারণ মানুষ এই অভিযোগ করার পরেই রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি সামাল দিতে তদন্ত করে গোটা ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় রাজ্যের শাসক দল। সেই মত বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, পঞ্চায়েতের অনেক তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এই ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা ঘটেছে। যার পর তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়।

ফলস্বরূপ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শোকজের পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এবার হাওড়া জেলার পাঁচ তৃণমূল নেতা কর্মীকে শোকজ করল শাসক দল। সূত্রের খবর, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় শোকজ করা হয়েছে ডোমজুড়ের মাকড়দহ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাজল সর্দার, উত্তর ঝাপরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ পাত্র এবং উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল, জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে।

জানা যায়, কিছুদিন আগেই মাকড়দহ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগে লাঠি, জুতো নিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ক্ষতিপূরণের টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তবে প্রধান কাজল সর্দার অবশ্য পাল্টা যুক্তি খাড়া করেছিলেন। তবে এবার সাধারণ মানুষ এই সমস্ত নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সাথে সাথেই দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে এবার তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই কাজল সর্দার সহ আরও চার নেতাকে শোকজ করে দেওয়া হল। অর্থাৎ তৃণমূল বার্তা দিতে চাইল, মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে যদি কেউ অভিযুক্ত হয়, তাহলে তাকে দল কখনই ছেড়ে কথা বলবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “পাঁচ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ বিলি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দলের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। তদন্ত করার পর তাদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 48 ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। তারপর তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে। বর্তমানে রাজ্য সরকার কোনভাবেই দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবে না। ঘূর্ণিঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদেরই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” তবে বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে দলের অধিকাংশ নেতাকে শোকজ করলেও, পরিস্থিতি কিছুতেই পাল্টাচ্ছে না বলে মনে করছে একাংশ।

কেননা যত দিন যাচ্ছে, ততই একের পর এক অভিযুক্ত নেতার হদিশ মিলছে, আর তৃনমূল শোকজ শুরু করেছে। ফলে এভাবেই যদি চলতে থাকে এবং তৃণমূল যদি শোকজ করতে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির আদৌ কি উন্নতি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেননা আসল কথা হল দুর্নীতি বন্ধ করা‌। প্রকৃত যারা গরিব মানুষ আছেন, যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু সেখানেই যদি শাসক দলের নেতারা বাধা দেয়, তাহলে কি হবে!

সেই নেতারা হয়ত শাস্তি পেলেন, কিন্তু এভাবে যদি দূর্নীতি চলতে থাকে, তাহলে মানুষের কাছে আদৌ প্রকৃত সাহায্য পৌঁছবে না বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তবে হাওড়া জেলার পাঁচ নেতাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শোকজ করার পর, এখন অন্যান্য দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়া নেতারা কিছুটা হলেও সচেতন হন কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!