এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অপেক্ষার আর মাত্র ছমাস? তারপরেই নবান্নের রঙ হবে গেরুয়া? গোপন কথা ‘ফাঁস’ করলেন বিজেপি নেতা?

অপেক্ষার আর মাত্র ছমাস? তারপরেই নবান্নের রঙ হবে গেরুয়া? গোপন কথা ‘ফাঁস’ করলেন বিজেপি নেতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর উত্তরবঙ্গ সফরে এসে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন তিনি। যেখানে দলের সমস্ত সাংসদ থেকে শুরু করে পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, এই বৈঠকে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়েছে। আর সেই বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসেই আগামী ছয় মাস পর রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা সায়ন্তন বসু। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি উত্তরবঙ্গে পা রাখার পরেই তার সঙ্গে বৈঠকের পর সায়ন্তন বসু এই ধরনের কথা বলায় ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর সায়ন্তন বসু বলেন, “ছয় মাস পর রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, তখন সাফল্য আসবে। এই ছয় মাস লড়াই করতে হবে বলে তিনি কার্যকর্তাদের বলেছেন। কার্যকর্তারা তাকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচারের কথা বলেছেন। তিনি সেটা জেনেছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, উনি যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন ডেঙ্গির রিপোর্ট রাজ্য সরকার পাঠাত না।”

অর্থাৎ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর সায়ন্তন বসু এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিলেন যে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার প্রতি কতটা মনোযোগী হয়েছে। একাংশ বলছেন, সায়ন্তন বসু এই ধরনের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন বিজেপি নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন, ঠিক তেমনই সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে আরও বেশি করে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে তৃণমূলের অত্যাচার ও দুর্নীতির কথা দলের সভাপতি সমস্তটাই জানেন বলেন দাবি করেছেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচার ও দুর্নীতির কথা তিনি জানেন। পার্টির কর্মীদের কর্মদক্ষতা এবং দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলেছেন। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের তারিফ করেছেন, রাজ্যে এরকম একটা লড়াই করার জন্য। অন্য রাজ্যের মানুষ এরকম একটা ভয়ঙ্কর লড়াই করার পরিকল্পনা করতে পারবেন না, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি যে লড়াই করছে।” অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের নেতাকর্মীদের লড়াইকে মান্যতা দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তাদের আরও বেশি করে আন্দোলনে নামার জন্য উৎসাহিত করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কথাই ফুটে উঠল রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর গলায়।

এদিকে আসন্ন শারদোৎসব নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, “তৃণমূলের পুজো মানে ভক্তির কোনো ব্যাপার নেই। উৎসবের নামে শুধু বেলাল্লাপনা। রাজ্যের পয়সা নেই, অথচ খেলা, মেলা, উৎসব সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ আসন ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে থাকবে।” একাংশ বলছেন, বিধানসভা নির্বাচন এবং শারদ উৎসবের আগে উত্তরবঙ্গে এসে দলের সংগঠন নিয়ে বৈঠক করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

আর দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি যে সমস্ত বার্তা দিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম যে বাংলা দখল, তা কার্যত সায়ন্তন বসুর কথার মধ্যে দিয়েই ফুটে উঠল। সব মিলিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বার্তা দলের নেতাকর্মীরা কতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করেন এবং তার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কতটা সাফল্য পায় বিজেপি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!