এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > একযোগে দলে এলেন ৬ বিধায়ক! খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে

একযোগে দলে এলেন ৬ বিধায়ক! খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে


সামনেই দীপাবলি – আর তার আগেই বিধানসভার নির্বাচন সম্পন্ন হল মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায়। এবার সামনের মাস দুয়েকের মধ্যেই নির্বাচন হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডে। এই ভোট পর্বের শুরুতেই দলবদল শুরু হয়ে গেছে। আর এই দলবদল এর সুপ্রভাব পড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরে। কারণ ঝাড়খণ্ডের বিরোধী শিবির থেকে 6 জন বিধায়ক ভোটের মুখে যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। এতে গেরুয়া শিবিরের হাত আরো শক্ত হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আর অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের বিরোধী শিবির, বলাই বাহুল্য, রাজনৈতিক মঞ্চে একটা জোর ধাক্কা খেলো। সামনের মাস কয়েকের মধ্যেই ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই ঝাড়খণ্ডের বিরোধী শিবিরে লাগলো জোর ধাক্কা। ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তিন জন বিধায়ক এবং কংগ্রেসের দুইজন বিধায়ক, একজন আবার ‘নব জওয়ান সংঘর্ষ মোর্চার’ সদস্য এসে নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে। বুধবার ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এর উপস্থিতিতে এই 6 জন বিধায়ক বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর ফলে ঝাড়খন্ড বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের জোর আরো বাড়লো বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক এর বিপরীত ভাবে বিরোধী শিবিরের শক্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা থেকে বিধায়ক কুনাল সারেঙ্গী, জে পি ভাই প্যাটেল এবং চামরা লিন্ডা বিজেপিতে যোগ দেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের 2 বিধায়ক শুকদেব এবং মনোজ যাদব ও নব জওয়ান সংঘর্ষ মোর্চার বিধায়ক ভানু প্রতাপ সিং বিজেপিতে যোগ দেন বিজেপিতে। এই 6 বিধায়ক যোগ দেওয়ার ফলে ঝাড়খন্ড বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়ালো 49।

অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক সংখ্যা কমে গিয়ে হলো 16। আর কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে গিয়ে দাঁড়াল 6। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ঝাড়খন্ডে 14 টি আসনের মধ্যে 12 টি দখল করে। অন্যদিকে ইউপিএ জোটের দখলে যায় মাত্র দুটি আসন। লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর থেকেই বিরোধী শিবিরে ঢিলেমি লক্ষ্য করা যায়। আর সদ্য এই দলবদল বিরোধী শিবিরে যে আরো সমস্যার সৃষ্টি করবে তা বোঝাই যাচ্ছে। শুধু একটাই আশার কথা, বিজেপির মোকাবিলা করতে এবছর মহাজোট করছে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চা।

কিন্তু ভোটের বাকি মোটে মাস দুয়েক। আর তার আগে এভাবে বিরোধী শিবিরে ভাঙ্গন ধরায় মহাজোট করলেও বিরোধীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ রয়ে যাচ্ছে শেষরক্ষা নিয়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এইভাবে যদি একে একে বিরোধী শিবির থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে থাকেন বিধায়করা, তাহলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবির বেশ পিছিয়ে থেকেই শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের দাবি, শাসকদল নানাভাবে ছলে বলে কৌশলে তাঁদের দল ভাঙিয়ে চলছে। সবমিলিয়ে, নির্বাচনের আগে যে পদ্ম শিবিরের শক্তি অনেকটাই বাড়লো, সে কথা মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!